ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

১৩ বছরের যাত্রা শেষ, রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছেন লুকা মডরিচ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) ছাড়ছেন লুকা মদ্রিচ। ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপেই শেষবার তাঁকে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে দেখতে পাওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে একথা ঘোষণা করেছেন ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তী ফুটবলার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রায় ৩০ ট্রফি জয় করেছেন মদ্রিচ। এরমধ্যে রয়েছে ৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি এবং ৪ লা লিগা খেতাব। ফলে তাঁর এই সিদ্ধান্তে ক্লাবের যে এক স্বর্ণযুগের অবসান হবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। আগামী শনিবার স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে চলতি মরশুমের শেষ হোম ম্য়াচ খেলতে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানেই মদ্রিচ বিদায়ের কথা জানাবেন। প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে।

একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মদ্রিচ লিখেছেন, ‘এবার যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এই মুহূর্তটা আমি কখনই চাইনি। কিন্তু, এটাই ফুটবল। জীবনের প্রত্যেকটা ঘটনারই একটা সূচনা রয়েছে। আর রয়েছে একটা সমাপ্তি… শনিবার স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে আমি শেষ ম্য়াচটা খেলতে নামব।’

সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ আমার গোটা জীবনটাই বদলে দিয়েছে। পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবেও আমি অনেকটাই বদলে গিয়েছি। এই ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সফল একটি যুগের সাক্ষী হতে পেরে আমি যথেষ্ট গর্বিত। যদিও ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপের পর এই জার্সি আর আমাকে পরতে দেখা যাবে না। তবে আমি চিরকাল একজন মাদ্রিদিস্তাই থাকব।’

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১২ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে লুকা মদ্রিচ রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় অনেকেই এই দল-বদল নিয়ে ভ্রু কুঁচকেছিলেন। করেছিলেন তির্যক মন্তব্যও। এমনকী, মাদ্রিদ সমর্থকদের একাংশ এই চুক্তি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, মদ্রিচ খুব তাড়াতাড়িই দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন। সেইসঙ্গে দলের সমর্থকদের হৃদয়ে করে নেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। একথা অনস্বীকার্য যে মদ্রিচ একজন প্লে-মেকার। পাশাপাশি তিনি দরকারের সময় ডিফেন্সেও নজর কাড়তে পারেন। মদ্রিচ ক্লাবে যোগ দেওয়ার দ্বিতীয় মরশুমেই রিয়াল মাদ্রিদ দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জয় করেছিল।

জিনেদিন জিদান যখন রিয়াল মাদ্রিদ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেইসময় মদ্রিচ এই দলের মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ মরশুমের মধ্যে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব জয় করেন। ২০১৮ সালে তিনি কার্যত একক দক্ষতায় ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সেকারণেই ১০ বছর পর লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে টেক্কা দিয়ে অন্য কোনও ফুটবলার ব্যালন ডি’অর খেতাব জয় করেছিলেন। সেই নামটা লুকা মদ্রিচ।

ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০১২ সালে আমি যখন এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম, তখন সেরা দলের হয়ে খেলার একরাশ স্বপ্ন দু’চোখে আমার ছিল। লক্ষ্য ছিল মহৎ কিছু করার। কিন্তু, পরবর্তী ক্ষেত্রে আমার জন্য কী অপেক্ষা করছিল, সেটা ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। একজন ফুটবলার এবং একজন মানুষ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ আমার জীবন অনেকটাই বদলে দিয়েছে। এই ক’বছরে আমি স্মৃতির মণিকোঠায় একাধিক মুহূর্ত সংগ্রহ করতে পেরেছি। কামব্যাক, ফাইনাল, সেলিব্রেশন, বার্নাব্যু সাক্ষী রয়েছিল একাধিক জাদুময়ী রাতের। আমরা সবকিছু জিততে পেরেছি। আমি খুব খুশি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

১৩ বছরের যাত্রা শেষ, রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছেন লুকা মডরিচ

আপডেট সময় : ০১:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) ছাড়ছেন লুকা মদ্রিচ। ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপেই শেষবার তাঁকে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে দেখতে পাওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে একথা ঘোষণা করেছেন ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তী ফুটবলার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রায় ৩০ ট্রফি জয় করেছেন মদ্রিচ। এরমধ্যে রয়েছে ৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি এবং ৪ লা লিগা খেতাব। ফলে তাঁর এই সিদ্ধান্তে ক্লাবের যে এক স্বর্ণযুগের অবসান হবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। আগামী শনিবার স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে চলতি মরশুমের শেষ হোম ম্য়াচ খেলতে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানেই মদ্রিচ বিদায়ের কথা জানাবেন। প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে।

একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মদ্রিচ লিখেছেন, ‘এবার যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এই মুহূর্তটা আমি কখনই চাইনি। কিন্তু, এটাই ফুটবল। জীবনের প্রত্যেকটা ঘটনারই একটা সূচনা রয়েছে। আর রয়েছে একটা সমাপ্তি… শনিবার স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে আমি শেষ ম্য়াচটা খেলতে নামব।’

সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ আমার গোটা জীবনটাই বদলে দিয়েছে। পাশাপাশি একজন মানুষ হিসেবেও আমি অনেকটাই বদলে গিয়েছি। এই ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সফল একটি যুগের সাক্ষী হতে পেরে আমি যথেষ্ট গর্বিত। যদিও ক্লাব ফুটবল বিশ্বকাপের পর এই জার্সি আর আমাকে পরতে দেখা যাবে না। তবে আমি চিরকাল একজন মাদ্রিদিস্তাই থাকব।’

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১২ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে লুকা মদ্রিচ রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন। সেইসময় অনেকেই এই দল-বদল নিয়ে ভ্রু কুঁচকেছিলেন। করেছিলেন তির্যক মন্তব্যও। এমনকী, মাদ্রিদ সমর্থকদের একাংশ এই চুক্তি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, মদ্রিচ খুব তাড়াতাড়িই দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন। সেইসঙ্গে দলের সমর্থকদের হৃদয়ে করে নেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। একথা অনস্বীকার্য যে মদ্রিচ একজন প্লে-মেকার। পাশাপাশি তিনি দরকারের সময় ডিফেন্সেও নজর কাড়তে পারেন। মদ্রিচ ক্লাবে যোগ দেওয়ার দ্বিতীয় মরশুমেই রিয়াল মাদ্রিদ দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জয় করেছিল।

জিনেদিন জিদান যখন রিয়াল মাদ্রিদ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেইসময় মদ্রিচ এই দলের মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ মরশুমের মধ্যে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব জয় করেন। ২০১৮ সালে তিনি কার্যত একক দক্ষতায় ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সেকারণেই ১০ বছর পর লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে টেক্কা দিয়ে অন্য কোনও ফুটবলার ব্যালন ডি’অর খেতাব জয় করেছিলেন। সেই নামটা লুকা মদ্রিচ।

ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০১২ সালে আমি যখন এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম, তখন সেরা দলের হয়ে খেলার একরাশ স্বপ্ন দু’চোখে আমার ছিল। লক্ষ্য ছিল মহৎ কিছু করার। কিন্তু, পরবর্তী ক্ষেত্রে আমার জন্য কী অপেক্ষা করছিল, সেটা ঘুণাক্ষরেও জানতাম না। একজন ফুটবলার এবং একজন মানুষ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ আমার জীবন অনেকটাই বদলে দিয়েছে। এই ক’বছরে আমি স্মৃতির মণিকোঠায় একাধিক মুহূর্ত সংগ্রহ করতে পেরেছি। কামব্যাক, ফাইনাল, সেলিব্রেশন, বার্নাব্যু সাক্ষী রয়েছিল একাধিক জাদুময়ী রাতের। আমরা সবকিছু জিততে পেরেছি। আমি খুব খুশি।’