ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতের উত্তর প্রদেশে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৫৬ জনের মৃত্যু

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ভারতের উত্তর প্রদেশে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার অফিসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

ত্রাণ কমিশনার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ফতেহপুরে ৬ জন, কাসগঞ্জে ৫ জন, মীরাট, কানপুর নগর, বুলদণ্ডশহর, এটাহ ও আউরাইয়ায় ৪ জন করে, গৌতম বুদ্ধ নগর ও কনৌজে ৩ জন করে, গাজিয়াবাদ, ফিরোজাবাদ, কানপুর দেহাত ও এটাওয়ায় ২ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আলিগড়, হাথরাস, চিত্রকূট, আম্বেদকর নগর, আমেথি, ঝাঁসি, আগ্রা, উন্নাও, বাগপত, আজমগড় ও অযোধ্যাতে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

উত্তর প্রদেশের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তরা জানিয়েছেন, গত ২২ মে শক্তিশালী মৌসুমী ঝড় বয়ে গেছে রাজ্যের অনেক জেলার ওপর দিয়ে। ঝড়ের সময় এলাকা বিশেষে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে।

শিলাবৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল। বেশ কয়েকটি জেলায় কৃষিখাতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জনজীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির জরিপ পরিচালনার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ কার্যক্রমের ওপরও নজরদারি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের উত্তর প্রদেশে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতে ৫৬ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৬:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ভারতের উত্তর প্রদেশে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার অফিসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

ত্রাণ কমিশনার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ফতেহপুরে ৬ জন, কাসগঞ্জে ৫ জন, মীরাট, কানপুর নগর, বুলদণ্ডশহর, এটাহ ও আউরাইয়ায় ৪ জন করে, গৌতম বুদ্ধ নগর ও কনৌজে ৩ জন করে, গাজিয়াবাদ, ফিরোজাবাদ, কানপুর দেহাত ও এটাওয়ায় ২ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আলিগড়, হাথরাস, চিত্রকূট, আম্বেদকর নগর, আমেথি, ঝাঁসি, আগ্রা, উন্নাও, বাগপত, আজমগড় ও অযোধ্যাতে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

উত্তর প্রদেশের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তরা জানিয়েছেন, গত ২২ মে শক্তিশালী মৌসুমী ঝড় বয়ে গেছে রাজ্যের অনেক জেলার ওপর দিয়ে। ঝড়ের সময় এলাকা বিশেষে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে।

শিলাবৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল। বেশ কয়েকটি জেলায় কৃষিখাতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জনজীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির জরিপ পরিচালনার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ কার্যক্রমের ওপরও নজরদারি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।