ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধান উপদেষ্টার কাছে যেসব দাবি জানালো রাজনৈতিক দলগুলো

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১১টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। আজ (রোববার, ২৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকেল পাঁচটার পর প্রথম ধাপের এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে এসব দলের শীর্ষ নেতারা সংবাদ মাধ্যমে তাদের দাবি ও আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

প্রথম ধাপের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমেদ।

এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার মতো পরিবেশ না থাকার কারণেই তিনি পদত্যাগের কথা বলেছিলেন। নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলেই তিনি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।’

এছাড়াও আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের দাবি এবং সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পরিষদে রদবদলের বিষয়ে এবি পার্টির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও বৈঠকে দলটি বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে।

এদিকে জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কোনো টাইম ফ্রেম দিতে চায় না নাগরিক ঐক্য। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন আয়োজন করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন তা দিতে চায় দলটি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক করিডোর ইস্যুসহ দেশের সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখার প্রবণতা দেখছি।’

অন্যদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণ একটি দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।’

তিনি জানান, যে সমস্ত প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য হয় তার ঘোষণা এবং যে বিষয়ে দ্বিমত থাকবে তা জনগণের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দলটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি সুষ্ঠুভাবে দাঁড় করানোর পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘দেশে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সাথে বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকাতেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনতে হবে।’ এসময় তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টাদের ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যুক্ত পরিকল্পনা থাকলে তা স্পষ্ট করে সরে যাওয়া উচিত।’ এছাড়াও স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দ্বিতীয় ধাপে বৈঠকে অংশ নেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলামী পার্টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে যেসব দাবি জানালো রাজনৈতিক দলগুলো

আপডেট সময় : ১১:২৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১১টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। আজ (রোববার, ২৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকেল পাঁচটার পর প্রথম ধাপের এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে এসব দলের শীর্ষ নেতারা সংবাদ মাধ্যমে তাদের দাবি ও আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

প্রথম ধাপের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমেদ।

এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার মতো পরিবেশ না থাকার কারণেই তিনি পদত্যাগের কথা বলেছিলেন। নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলেই তিনি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।’

এছাড়াও আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের দাবি এবং সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পরিষদে রদবদলের বিষয়ে এবি পার্টির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও বৈঠকে দলটি বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে।

এদিকে জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কোনো টাইম ফ্রেম দিতে চায় না নাগরিক ঐক্য। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন আয়োজন করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন তা দিতে চায় দলটি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক করিডোর ইস্যুসহ দেশের সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখার প্রবণতা দেখছি।’

অন্যদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণ একটি দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।’

তিনি জানান, যে সমস্ত প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য হয় তার ঘোষণা এবং যে বিষয়ে দ্বিমত থাকবে তা জনগণের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দলটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি সুষ্ঠুভাবে দাঁড় করানোর পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘দেশে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সাথে বাইরের শক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকাতেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনতে হবে।’ এসময় তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টাদের ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যুক্ত পরিকল্পনা থাকলে তা স্পষ্ট করে সরে যাওয়া উচিত।’ এছাড়াও স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দ্বিতীয় ধাপে বৈঠকে অংশ নেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলামী পার্টি।