জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ শতাংশ নির্ধারণসহ সাত দফা দাবিতে আজ সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। এই ধর্মঘটের অংশ হিসেবে দুপুর ২টা পর্যন্ত সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহনও স্থগিত রয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যানবাহন চালক ও সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় ইতোমধ্যেই যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, চলমান সংকট মোকাবিলায় ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলমান রয়েছে।
মূল ১০ দফা দাবি:
১. জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ শতাংশ নির্ধারণ।
২. সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের হারেই বহাল রাখা।
৩. সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন হিসেবে গণ্য করা।
৪. বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা।
৫. পেট্রল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বিইআরসি, কলকারখানা ও ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স প্রথা বাতিল করা।
৬. বিপণন কোম্পানির বাইরে অন্য কারো কাছে তেল বিক্রি বন্ধ করা।
৭. ট্যাংক-লরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স সহজে প্রদান।
৮. সব ট্যাংক-লরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট দেওয়া।
৯. ঘরের ভেতর বা যত্রতত্র মেশিন বসিয়ে অননুমোদিত তেল বিক্রি বন্ধ।
১০. খোলা জায়গায় মেশিন বসিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
এদিকে এই কর্মসূচির ফলে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে যানবাহন চলাচলে বড় ধরনের জ্বালানি সংকট ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে পরিবহন খাত, জরুরি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস এবং কৃষিখাতের ওপর এর তীব্র প্রভাব পড়তে পারে।