ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের প্রয়োজন হলেও গেল ৫ দিনে গাজায় প্রবেশ করেছে ১০০ ট্রাক। এতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনিকে দিন কাটাচ্ছে অনাহারে। অপারেশন গিডিয়ন্স চ্যারিয়টের মাধ্যমে উপত্যকার ৭৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজারো ইসরাইলি।

খাবারের জন্যে হাহাকার এতটাই তীব্র যে উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সঙ্গেই তা কেড়ে নিচ্ছে গাজাবাসী। গুটি কয়েক ভাগ্যবানের পেটে খাবার জুটলেও অধিকাংশই অভুক্ত। তাই নতুন ত্রাণবহর প্রবেশের অপেক্ষায় খোলা আকাশের নিচে কাটছে সময়।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণকে রক্ষায় গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ ত্রাণবহর প্রবেশ প্রয়োজন। গেল মঙ্গলবার থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীতে প্রবেশ করেছে মাত্র ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। ২০ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য যাকে মহাসমুদ্রে একবিন্দুর পানির সঙ্গে তুলনা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

রিফিউজি ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ডিন ল্যাং বলেন, ‘কয়েকটা, এক ডজন এমনকি শত শত ট্রাক পাঠিয়ে মাত্র কয়েকদিনের জন্য গাজার মানুষের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। দৈনিক অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক সমভাবে বণ্টন করা প্রয়োজন। খাবারের ট্রাকে লুটপাট উপত্যকার পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য যথেষ্ট। যুদ্ধ চলাকালীন নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো অসম্ভব।’

দুর্ভিক্ষের মাঝেও অব্যাহত রয়েছে ইসরাইলের অপারেশন গিডিয়নস চ্যারিয়ট। রোববারেও প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি। গণহত্যার মাধ্যমে জাতিগত নিধনের অভিযোগ উঠছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের তথ্য বলছে, উপত্যকার ৭৭ শতাংশ এলাকা বর্তমানে আইডিএফের দখলে। অন্যদিকে খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ৮১ শতাংশ এলাকা।

এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে তেল আবিবে। যাতে অংশ নেন কয়েক হাজার ইসরাইলি। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের গড়িমসির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগও দাবি করা হয়।

ইসরাইলি বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমরা তাকে সরকারের দায়িত্বে দেখতে চাই না। কারণ বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ছাড়া ইসরাইল স্বাভাবিক রাষ্ট্র হবে না।’

আরেকজন বলেন, ‘নেতানিয়াহুর স্ত্রীর সিদ্ধান্তে সব কাজ হচ্ছে। কারণ সারা নেতানিয়াহুই দেশকে পরিচালনা করছেন।’

এক সপ্তাহের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো ইসরাইলকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। যদিও আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবি করেছে আইডিএফ। সাইরেনের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন কয়েক হাজার ইসরাইলি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভে

আপডেট সময় : ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের প্রয়োজন হলেও গেল ৫ দিনে গাজায় প্রবেশ করেছে ১০০ ট্রাক। এতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনিকে দিন কাটাচ্ছে অনাহারে। অপারেশন গিডিয়ন্স চ্যারিয়টের মাধ্যমে উপত্যকার ৭৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজারো ইসরাইলি।

খাবারের জন্যে হাহাকার এতটাই তীব্র যে উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সঙ্গেই তা কেড়ে নিচ্ছে গাজাবাসী। গুটি কয়েক ভাগ্যবানের পেটে খাবার জুটলেও অধিকাংশই অভুক্ত। তাই নতুন ত্রাণবহর প্রবেশের অপেক্ষায় খোলা আকাশের নিচে কাটছে সময়।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণকে রক্ষায় গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ ত্রাণবহর প্রবেশ প্রয়োজন। গেল মঙ্গলবার থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীতে প্রবেশ করেছে মাত্র ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। ২০ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য যাকে মহাসমুদ্রে একবিন্দুর পানির সঙ্গে তুলনা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

রিফিউজি ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ডিন ল্যাং বলেন, ‘কয়েকটা, এক ডজন এমনকি শত শত ট্রাক পাঠিয়ে মাত্র কয়েকদিনের জন্য গাজার মানুষের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। দৈনিক অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক সমভাবে বণ্টন করা প্রয়োজন। খাবারের ট্রাকে লুটপাট উপত্যকার পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য যথেষ্ট। যুদ্ধ চলাকালীন নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো অসম্ভব।’

দুর্ভিক্ষের মাঝেও অব্যাহত রয়েছে ইসরাইলের অপারেশন গিডিয়নস চ্যারিয়ট। রোববারেও প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি। গণহত্যার মাধ্যমে জাতিগত নিধনের অভিযোগ উঠছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের তথ্য বলছে, উপত্যকার ৭৭ শতাংশ এলাকা বর্তমানে আইডিএফের দখলে। অন্যদিকে খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ৮১ শতাংশ এলাকা।

এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে তেল আবিবে। যাতে অংশ নেন কয়েক হাজার ইসরাইলি। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের গড়িমসির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগও দাবি করা হয়।

ইসরাইলি বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমরা তাকে সরকারের দায়িত্বে দেখতে চাই না। কারণ বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ছাড়া ইসরাইল স্বাভাবিক রাষ্ট্র হবে না।’

আরেকজন বলেন, ‘নেতানিয়াহুর স্ত্রীর সিদ্ধান্তে সব কাজ হচ্ছে। কারণ সারা নেতানিয়াহুই দেশকে পরিচালনা করছেন।’

এক সপ্তাহের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো ইসরাইলকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। যদিও আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবি করেছে আইডিএফ। সাইরেনের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন কয়েক হাজার ইসরাইলি।