ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ১৭ রুট দিয়ে দেশে ঢুকছে অবৈধ অস্ত্র

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত ও মিয়ানমারে সহিংসতার জেরে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকছে অবৈধ অস্ত্র। গত পাঁচ মাসে সীমান্তে অন্তত ৭৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় নয় হাজার গুলি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তের ১৭টি রুটকে ব্যবহার করছে অস্ত্র চোরাচালান কারবারিরা। বেছে নিয়েছে ১০টি জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের নিরাপত্তার জন্য এটি মারাত্মক হুমকি। দ্রুত রুটগুলোতে অভিযান ও নজরদারি বাড়াতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। জান্তা বাহিনীর সঙ্গে চলছে সংঘাত। আর দেশের উত্তর-পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ডেও চলছে অস্থিরতা। এই সুযোগে সক্রিয় আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানকারীরা।

বিজিবির তথ্য বলছে, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তের ১৭টি এলাকা দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে দেশে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, বান্দরবান ও কক্সবাজারের কিছু এলাকা বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে মে পাঁচ মাসে বিজিবি ৭৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় নয় হাজার গুলি উদ্ধার করেছে। রয়েছে অত্যাধুনিক রাইফেল, হ্যান্ড গ্রেনেড আর ভারতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদ।

এদিকে বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লুট হওয়া ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি এখনও। এগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা নিচ্ছে পুলিশ।

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ভারত ও মিয়ানমারে সহিংসতার জেরে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকছে অবৈধ অস্ত্র। অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহারে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। এসব অস্ত্র কোথায় যাচ্ছে আর কারা ব্যবহার করছে, সেদিকে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ১৭ রুট দিয়ে দেশে ঢুকছে অবৈধ অস্ত্র

আপডেট সময় : ০২:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ভারত ও মিয়ানমারে সহিংসতার জেরে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকছে অবৈধ অস্ত্র। গত পাঁচ মাসে সীমান্তে অন্তত ৭৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় নয় হাজার গুলি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তের ১৭টি রুটকে ব্যবহার করছে অস্ত্র চোরাচালান কারবারিরা। বেছে নিয়েছে ১০টি জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের নিরাপত্তার জন্য এটি মারাত্মক হুমকি। দ্রুত রুটগুলোতে অভিযান ও নজরদারি বাড়াতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। জান্তা বাহিনীর সঙ্গে চলছে সংঘাত। আর দেশের উত্তর-পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ডেও চলছে অস্থিরতা। এই সুযোগে সক্রিয় আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানকারীরা।

বিজিবির তথ্য বলছে, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তের ১৭টি এলাকা দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে দেশে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, বান্দরবান ও কক্সবাজারের কিছু এলাকা বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে মে পাঁচ মাসে বিজিবি ৭৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রায় নয় হাজার গুলি উদ্ধার করেছে। রয়েছে অত্যাধুনিক রাইফেল, হ্যান্ড গ্রেনেড আর ভারতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদ।

এদিকে বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লুট হওয়া ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি এখনও। এগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা নিচ্ছে পুলিশ।

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ভারত ও মিয়ানমারে সহিংসতার জেরে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকছে অবৈধ অস্ত্র। অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহারে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। এসব অস্ত্র কোথায় যাচ্ছে আর কারা ব্যবহার করছে, সেদিকে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।