ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মাইকেল শুমাখারের ফেরারি বিক্রি হলো ২২০ কোটি টাকায়

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২২০ কোটি ৯০ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে মাইকেল শুমাখারের ২০০১ সালের মোনাকো গ্রাঁ প্রিঁতে ব্যবহৃত ফেরারি গাড়ি। ফর্মুলা ওয়ানের সে মৌসুমে ফেরারি এফ-২০০১ মডেল চালিয়েছিলেন শুমাখার। এই ফর্মুলা ওয়ান রেসিং কার দিয়ে মোনাকোর পাশাপাশি হাঙ্গেরিয়ান গ্রাঁ প্রিঁও জিতেছিলেন সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

২০০১ সালে ফর্মুলা ওয়ানের চতুর্থ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন মাইকেল শুমাখার। মোনাকো গ্রাঁ প্রিঁতে ফেরারি এফ ২০০১ মডেল চালিয়েছিলেন শুমাখার। পরে একই গাড়ি দিয়ে হাঙ্গেরিয়ান গ্রাঁ প্রিঁও জিতেছিলেন সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

জার্মানির এই কিংবদন্তি যত ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি চালিয়েছেন, তার মধ্যে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ফেরারি এফ ২০০১। শনিবার (২৪ মে) মোনাকোর কোয়ালিফাইং শুরুর আগে কানাডার নিলামকারী প্রতিষ্ঠান আরএম নিলামে এফ ২০০১ বিক্রি করেছে।

৮০ লাখ ইউরো থেকে নিলামে ডাক শুরু হয়। ১ কোটি ৪২ লাখ ইউরো দাম বলার পর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেটা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ইউরোয় উন্নীত হয়।

শুমাখারের যেসব ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে এফ ২০০১ দামে পেছনে ফেলেছে এফ ২০০৩ মডেলকে। ২০২২ সালে জেনেভায় ১ কোটি ১৬ লাখ ইউরোয় বিক্রি হয়েছিল এফ ২০০৩ গাড়ি। এর আগে ২০১৭ সালে এফ ২০০১ মডেল বিক্রি হয়েছিল ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ইউরোয়। এবার তা পুনরায় বিক্রি হলো।

ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি নিলামের ইতিহাসে এফ ২০০১ চতুর্থ সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া গাড়ি। শীর্ষ তিনের সব কটিই মার্সিডিজ বেঞ্জের। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির বিশ্ব রেকর্ডটি এ বছরই হয়েছে। মার্সিডিজের ডব্লিউ ১৯৬ স্ট্রিমলাইনার চালিয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান কিংবদন্তি হুয়ান ম্যানুয়েল ফানজিও ও স্টারলিং মস। সেই গাড়ি এ বছর নিলামে বিক্রি হয় ৬৪১ কোটি ১২ লাখ টাকায়।

মার্সিডিজের আরেকটি ডব্লিউ ১৯৬ ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি ২০১৩ সালে নিলামে বিক্রি হয় ২ কোটি ৬০ লাখ ইউরোয়, যেটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড। দুই বছর আগে নিলামে তৃতীয় সর্বোচ্চ দাম ১ কোটি ৬৫ লাখ ইউরোয় বিক্রি হয় ২০১৩ সালে লুইস হ্যামিল্টনের চালানো মার্সিডিজের গাড়ি।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মারাত্মক স্কিয়িং দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই সবার অন্তরালে ৫৬ বছর বয়সী শুমাখার। তার স্বাভাবিক জীবনের ট্র্যাকে ফেরার অপেক্ষায় ভক্তরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাইকেল শুমাখারের ফেরারি বিক্রি হলো ২২০ কোটি টাকায়

আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

২২০ কোটি ৯০ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে মাইকেল শুমাখারের ২০০১ সালের মোনাকো গ্রাঁ প্রিঁতে ব্যবহৃত ফেরারি গাড়ি। ফর্মুলা ওয়ানের সে মৌসুমে ফেরারি এফ-২০০১ মডেল চালিয়েছিলেন শুমাখার। এই ফর্মুলা ওয়ান রেসিং কার দিয়ে মোনাকোর পাশাপাশি হাঙ্গেরিয়ান গ্রাঁ প্রিঁও জিতেছিলেন সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

২০০১ সালে ফর্মুলা ওয়ানের চতুর্থ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন মাইকেল শুমাখার। মোনাকো গ্রাঁ প্রিঁতে ফেরারি এফ ২০০১ মডেল চালিয়েছিলেন শুমাখার। পরে একই গাড়ি দিয়ে হাঙ্গেরিয়ান গ্রাঁ প্রিঁও জিতেছিলেন সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

জার্মানির এই কিংবদন্তি যত ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি চালিয়েছেন, তার মধ্যে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ফেরারি এফ ২০০১। শনিবার (২৪ মে) মোনাকোর কোয়ালিফাইং শুরুর আগে কানাডার নিলামকারী প্রতিষ্ঠান আরএম নিলামে এফ ২০০১ বিক্রি করেছে।

৮০ লাখ ইউরো থেকে নিলামে ডাক শুরু হয়। ১ কোটি ৪২ লাখ ইউরো দাম বলার পর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেটা ১ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ইউরোয় উন্নীত হয়।

শুমাখারের যেসব ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে এফ ২০০১ দামে পেছনে ফেলেছে এফ ২০০৩ মডেলকে। ২০২২ সালে জেনেভায় ১ কোটি ১৬ লাখ ইউরোয় বিক্রি হয়েছিল এফ ২০০৩ গাড়ি। এর আগে ২০১৭ সালে এফ ২০০১ মডেল বিক্রি হয়েছিল ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার ইউরোয়। এবার তা পুনরায় বিক্রি হলো।

ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি নিলামের ইতিহাসে এফ ২০০১ চতুর্থ সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া গাড়ি। শীর্ষ তিনের সব কটিই মার্সিডিজ বেঞ্জের। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির বিশ্ব রেকর্ডটি এ বছরই হয়েছে। মার্সিডিজের ডব্লিউ ১৯৬ স্ট্রিমলাইনার চালিয়েছেন ফর্মুলা ওয়ান কিংবদন্তি হুয়ান ম্যানুয়েল ফানজিও ও স্টারলিং মস। সেই গাড়ি এ বছর নিলামে বিক্রি হয় ৬৪১ কোটি ১২ লাখ টাকায়।

মার্সিডিজের আরেকটি ডব্লিউ ১৯৬ ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি ২০১৩ সালে নিলামে বিক্রি হয় ২ কোটি ৬০ লাখ ইউরোয়, যেটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড। দুই বছর আগে নিলামে তৃতীয় সর্বোচ্চ দাম ১ কোটি ৬৫ লাখ ইউরোয় বিক্রি হয় ২০১৩ সালে লুইস হ্যামিল্টনের চালানো মার্সিডিজের গাড়ি।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মারাত্মক স্কিয়িং দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই সবার অন্তরালে ৫৬ বছর বয়সী শুমাখার। তার স্বাভাবিক জীবনের ট্র্যাকে ফেরার অপেক্ষায় ভক্তরা।