অর্থ লোপাটের তদন্তভার অভিযুক্তের কাঁধে!

- আপডেট সময় : ১২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

গত বছরের ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছে বরগুনার উপকূল। সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামতে উঠেছে অর্থ লোপাটের অভিযোগ। যে অভিযোগ কোনো ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নয়, খোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপজেলার শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধেই। সেই অভিযোগের আবার তদন্ত করছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
গেল বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলে আঘাত হানলেও, বরগুনায় মূলত তাণ্ডব চালায় পরদিন ২৭ মে। সেদিন রেমালের আঘাতে ঘর-বাড়িসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনায় ২২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারে বরাদ্দ আসে প্রায় কোটি টাকা। তবে বরাদ্দের অর্থে কাজ নিয়ে অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলার বুড়িরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেয়ালে ফাটল ও মেঝের ক্ষতি দেখিয়ে বরাদ্দ মেলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি। একই রকম অবস্থা বরাদ্দ পাওয়া বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। রয়েছে অর্থ বরাদ্দেও অনিয়মেরও অভিযোগ।
আয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের স্কুলের মোটর নষ্ট হয়েছিল, ফ্যানগুলোর বেশিরভাগই নষ্ট হয়েছিল।’
ইউটিডিসি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোসা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘নতুন ভবনগুলোতে আপনারা দেখবেন যে লাখের বেশি টাকা বরাদ্দ আসছে, কিন্তু আমরা সর্বনিম্ন টাকা পেয়েছি। আমাদের ভবনের অবস্থা খুবই দুর্বিসহ।’
সরকারি এই অর্থ বরাদ্দে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলার শিক্ষা অফিসের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত শেষে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত, যারা এই অর্থ লোপাট করেছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাদের যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়।’
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ছালেহ বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটা চাহিদা দেখানো হয়েছে, সেটা মাঠ পর্যায় থেকে উপজেলার মাধ্যমে আসে। আমি মনে করি সেটা আরো ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেয়া উচিৎ। আর্থিক অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটার জন্য সরকারি নিয়ম-নীতি আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’