ভারতে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যু ৬, শনাক্ত হাজার

- আপডেট সময় : ১০:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

কোভিড নাইনটিনের নতুন ঢেউয়ে ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। সংক্রামক রোগটি শনাক্ত হয়েছে ১ হাজারের বেশি ভারতীয়ের দেহে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে এবারের ভ্যারিয়েন্টকে কম বিপজ্জনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে গেল সপ্তাহে থাইল্যান্ডে ৫০ হাজারের বেশি শনাক্তের পাশাপাশি কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন।
আবারো কী তেড়ে আসছে করোনা ভাইরাস? মহামারি শেষ হবার ঠিক দুই বছর বাদে ভারতে চোখ রাঙাচ্ছে সংক্রামক এই ব্যাধি।
এক সপ্তাহ যাবৎ দেশটির হাসপাতালে বাড়ছে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পরীক্ষার পর মিলছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইতোমধ্যে কোভিডে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ হাজারের ঘর।
৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে অর্ধেকেই কোভিডের নতুন ঢেউয়ের শিকার। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে কেরালায়। তারপরেই অবস্থান করছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির তথ্যও মিলেছে। রোগীদের শরীরে মিলেছে জেএন-১, এক্সএফজি, এলএফ-৭ ও এনবি ১.৮.১ সাব ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলো অমিক্রনের পুরোনো সাব ভ্যারিয়েন্ট। যা কোভিডের অন্যান্য সাব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম বিপজ্জনক। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি জনগণকে আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত টেস্টিং কীট, বেড ও অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের মহাপরিচালক ডা. রাজিভ ভাল বলেন, ‘দক্ষিণ ও পশ্চিমভারতের যে ভ্যারিয়েন্টগুলো পাওয়া গেছে, এগুলো বিপজ্জনক নয়। এগুলো পুরোনো অমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট। জনগণের বেশি দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। সরকার ও প্রতিটি সংস্থা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’
ভারত ছাড়াও কোভিডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে। গেল সপ্তাহে থাইল্যান্ডে শনাক্ত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি নতুন রোগী। প্রায় ৩ হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালে। জন সমাগমের মাঝে নাগরিকদের মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির সরকার।
যদিও পার্শ্ববর্তী ভিয়েতনামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। জানুয়ারি থেকে দেশটিতে শনাক্ত প্রায় দুইশ রোগী। যদিও প্রাণহানির শিকার হননি কেউ। অন্যদিকে এশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সময় বিমানবন্দরে কয়েকযাত্রীর শরীরে মিলেছে কোভিডের অস্তিত্ব।