যে কোনো পরিস্থিতিতে জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৪:৪০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
- / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

আগামী বছরের জুনের নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার ৪ দিনের জাপান সফরের প্রথম দিনে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নিক্কেই ফোরাম ফর এশিয়ায় যোগ দিতে এবং জাপানি নেতাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা বুধবার টোকিওতে পৌঁছান।
জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) বর্তমান প্রেসিডেন্ট তারো আসো, বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান এবং মসৃণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য সাধারণ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমানডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে- সংস্কার, ছাত্র-জনতার খুনিদের বিচার এবং সাধারণ নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধসহ অর্থনৈতিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তরুণদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। যে ভয়াবহ বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা ঠিক করার জন্য তরুণরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জাপান গত দশ মাসে আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে এই সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। এক অর্থে ধন্যবাদ জানানোর জন্যই এবারের এই সফর।’
অধ্যাপক ইউনূস জেবিপিএফএল সভাপতি আসোকে চলমান সংস্কার কার্যক্রমগুলো সরাসরি দেখার জন্য বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় বৈঠকে অংশ নেওয়া জাপানি আইনপ্রণেতারা জানান, দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনা শেষ করে সেপ্টেম্বরে দু’দেশের মধ্যে এই ইপিএ সই হবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এটি হলে জাপানই হবে বাংলাদেশের সাথে ইপিএ সই করা প্রথম দেশ।