ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সাক্ষাৎকার স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোকে শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচির (এফএমজে) ভিসার সাক্ষাৎকারের শিডিউল দেওয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এ নির্দেশনা জারি করেছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। তারই অংশ হিসেবে দূতাবাসগুলোকে ভিসা কাক্ষাৎকার স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করা যাবে না।

এ দিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বিদ্যালয়গুলো ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীল এবং যেগুলোকে ট্রাম্প সম্প্রতি ‘চরম বামপন্থী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, সেসব বিশ্ববিদ্যালয় বেশি সমস্যায় পড়বে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে, বিদ্যমান অপারেশন এবং ভেটিং প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণের বিস্তৃত রূপ শিগগিরই জারি করা হবে।

এই প্রক্রিয়ার আওতায় আবেদনকারীদের ইনস্টাগ্রাম, এক্স (সাবেক টুইটার), টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে করা পোস্ট, শেয়ার ও মন্তব্য খতিয়ে দেখা হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিমূলক কিছু রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ।

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাধ্যতামূলক পর্যবেক্ষণ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। তখন ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি সমর্থন’ সংক্রান্ত প্রমাণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ‘বিতর্কিত’ পোস্ট ডিলিট করলেও সেগুলোর স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করতে বলা হয় কনসুলার অফিসারদের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। মার্চে এই সংখ্যা ছিল তিন শতাধিক।’

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সাক্ষাৎকার স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের

আপডেট সময় : ০৩:২৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোকে শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচির (এফএমজে) ভিসার সাক্ষাৎকারের শিডিউল দেওয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এ নির্দেশনা জারি করেছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। তারই অংশ হিসেবে দূতাবাসগুলোকে ভিসা কাক্ষাৎকার স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করা যাবে না।

এ দিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বিদ্যালয়গুলো ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীল এবং যেগুলোকে ট্রাম্প সম্প্রতি ‘চরম বামপন্থী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, সেসব বিশ্ববিদ্যালয় বেশি সমস্যায় পড়বে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে, বিদ্যমান অপারেশন এবং ভেটিং প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণের বিস্তৃত রূপ শিগগিরই জারি করা হবে।

এই প্রক্রিয়ার আওতায় আবেদনকারীদের ইনস্টাগ্রাম, এক্স (সাবেক টুইটার), টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে করা পোস্ট, শেয়ার ও মন্তব্য খতিয়ে দেখা হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিমূলক কিছু রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ।

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। তখন থেকেই শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাধ্যতামূলক পর্যবেক্ষণ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। তখন ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি সমর্থন’ সংক্রান্ত প্রমাণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ‘বিতর্কিত’ পোস্ট ডিলিট করলেও সেগুলোর স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করতে বলা হয় কনসুলার অফিসারদের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। মার্চে এই সংখ্যা ছিল তিন শতাধিক।’