ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাগরের মাঝখানে দ্বীপের মধ্যে বোমারু বিমান বসাল চীন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ চীন সাগরের অমীমাংসিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জে অত্যাধুনিক বোমারু বিমান বসিয়েছে চীন। সম্প্রতি স্যাটেলাইটে পাওয়া এ সংক্রান্ত কিছু ছবির বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তির কাছে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিল চীন। তবে এ নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের উডি দ্বীপে দুটি এইচ-৬ বোমারু বিমান স্থাপণ করেছে চীন। এর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের পর এই প্রথম দ্বীপটিতে এই ধরনের যুদ্ধযান বসাল দেশটি। ফিলিপাইনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই দেশটির কাছে এই সামরিক উপস্থিতি দেখা গেল চীনের। এ ছাড়া এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে তাইওয়ানও বেশি দূরে নয়।

সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষক কলিন কোহ বলছেন, ‘প্যারাসেলের দ্বীপে চীনের দূরপাল্লার বোমারু বিমানগুলো থাকার প্রয়োজন নেই। ফিলিপাইন, আমেরিকা ও অন্যান্য ইস্যুতে এটি বেইজিংয়ের সর্বমুখী সংকেত বলে মনে হচ্ছে।’

কূটনীতিকরা বলছেন, আগামী মাসে দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে গত মার্চের শেষদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত অমীমাংসিত স্কারবোরো শোলের ওপর দিয়ে দুটি এইচ-৬ বিমান উড়তে দেখেছে স্যাটেলাইট।

আঞ্চলিক কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, জেট-চালিত এইচ-৬ মোতায়েনের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, কারণ স্নায়ুযুদ্ধের যুগের বিমান কাঠামোটি জাহাজ-বিধ্বংসী এবং স্থল আক্রমণকারী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিমান পারমাণবিক-টিপযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।

এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটির জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে এইচ-৬ বোমারু বিমানগুলোকে অক্টোবরে তাইওয়ানের আশপাশে যুদ্ধমহড়ায় মোতায়েন করা হয়েছিল এবং জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন মূল ভূখণ্ডের কাছাকাছি উড়তে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে এবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা ফিলিপাইনের সমুদ্র ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ কেউই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। প্যারাসেলে চীনের দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে আসা ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাগরের মাঝখানে দ্বীপের মধ্যে বোমারু বিমান বসাল চীন

আপডেট সময় : ১০:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

দক্ষিণ চীন সাগরের অমীমাংসিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জে অত্যাধুনিক বোমারু বিমান বসিয়েছে চীন। সম্প্রতি স্যাটেলাইটে পাওয়া এ সংক্রান্ত কিছু ছবির বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তির কাছে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিল চীন। তবে এ নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের উডি দ্বীপে দুটি এইচ-৬ বোমারু বিমান স্থাপণ করেছে চীন। এর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের পর এই প্রথম দ্বীপটিতে এই ধরনের যুদ্ধযান বসাল দেশটি। ফিলিপাইনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই দেশটির কাছে এই সামরিক উপস্থিতি দেখা গেল চীনের। এ ছাড়া এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে তাইওয়ানও বেশি দূরে নয়।

সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষক কলিন কোহ বলছেন, ‘প্যারাসেলের দ্বীপে চীনের দূরপাল্লার বোমারু বিমানগুলো থাকার প্রয়োজন নেই। ফিলিপাইন, আমেরিকা ও অন্যান্য ইস্যুতে এটি বেইজিংয়ের সর্বমুখী সংকেত বলে মনে হচ্ছে।’

কূটনীতিকরা বলছেন, আগামী মাসে দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে গত মার্চের শেষদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত অমীমাংসিত স্কারবোরো শোলের ওপর দিয়ে দুটি এইচ-৬ বিমান উড়তে দেখেছে স্যাটেলাইট।

আঞ্চলিক কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, জেট-চালিত এইচ-৬ মোতায়েনের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, কারণ স্নায়ুযুদ্ধের যুগের বিমান কাঠামোটি জাহাজ-বিধ্বংসী এবং স্থল আক্রমণকারী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিমান পারমাণবিক-টিপযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।

এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটির জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে এইচ-৬ বোমারু বিমানগুলোকে অক্টোবরে তাইওয়ানের আশপাশে যুদ্ধমহড়ায় মোতায়েন করা হয়েছিল এবং জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন মূল ভূখণ্ডের কাছাকাছি উড়তে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে এবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা ফিলিপাইনের সমুদ্র ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ কেউই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। প্যারাসেলে চীনের দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে আসা ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেয়নি।