জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় উপকূলবাসী; তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

- আপডেট সময় : ১১:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় ১৪ জেলায় ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতেই উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গতকাল (বুধবার, ২৮ মে) রাত থেকেই চলছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত বেশকিছু নিম্নাঞ্চল। এতে উপকূলবাসীরা পড়েছেন বিপাকে।
নিম্নচাপে উত্তাল সাগর। উপকূলীয় এলাকায় অব্যাহত বৃষ্টিপাত। তলিয়ে গেছে বেশকিছু নিম্নাঞ্চল। সমুদ্র বন্দরগুলোতেও চলছে সতর্ক সংকেত।
রাত থেকে ঝুম বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে নোয়াখালীতে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল।
পানি ঢুকে পড়েছে বাড়িঘরে। প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে আতঙ্কে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। এছাড়াও সারাদেশের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে হাতিয়ার নৌ যোগাযোগ।
আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) সকাল থেকে বরগুনায়ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। এতে প্লাবিত হয়েছে বরগুনা সদরের খামারবাড়ি সড়ক, চরকলোনীর নিম্নাঞ্চল ও বরইতলা ফেরিঘাটের পন্টুন।
এ ছাড়াও জেলার ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন বাড়ায় আতঙ্কে জনপদের মানুষ।
একাটানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট। উপকূলীয় এলাকার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়েও বাড়ছে আতঙ্ক।
ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে কক্সবাজারেও উত্তাল সাগর। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে জোয়ারের পানি। সাগরে না নামতে পর্যটকদের সতর্ক করছে জেলা প্রশাকের টিম।
এ ছাড়াও মহেশখালী বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে লোকালয়ে। বন্ধ রয়েছে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে নৌ যোগাযোগ। পটুয়াখালীতেও উত্তাল সাগর ও নদ-নদী।
ভোর থেকে একাটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বরিশালের জনজীবন। অব্যাহত বৃষ্টিতে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। একইসঙ্গে নদীবন্দরগুলোতে চলছে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত।
এদিকে গেল দুইদিন ধরে রাঙামাটিতে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতে দেখা দিয়েছে ভূমিধ্বসের শঙ্কা। ১০ উপজেলায় পাহাড়ধসের সতর্কতা জারি করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রস্তুত করা হয়েছে ২৬৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।