ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানিকগঞ্জের সাড়ে ৬ শ’ প্রাথমিকে কর্মবিরতির ‘প্রভাব নেই’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিন দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করলেও এর কোনো ‘প্রভাব পড়েনি’ মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার সাড়ে ৬ শ’র বেশি বিদ্যালয়ে।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) সকালেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তবে, অন্যান্য দিনের চেয়ে উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলায় মোট ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কোথাও কর্মবিরতির কারণে পাঠদান বন্ধ হয়নি।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যস্ত শিক্ষকরা। অপরদিকে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে বসিয়ে বাইরের ভবনে অপেক্ষা করছেন।

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া বলে, ‘বৃষ্টি হইলেও আমি স্কুলে আসছি। তবে, আমার কয়েকজন বন্ধু বৃষ্টির কারণে ক্লাসে আসেনি। ম্যাডাম আজকে আমাদের পরীক্ষার খাতা দেখাইছেন।’

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি জানায়, বাসায় তো সব সময় ভালো লাগে না। স্কুলে আসলে বন্ধুদের পাই, তাই ছাতা নিয়েই বৃষ্টির মধ্যে স্কুলে আসছি। স্যার, ম্যাডাম ক্লাস নেন, ভালো লাগে।

৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘আমরাও চাই দাবি পূরণ হোক। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক, তা আমরা চাই না। সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ করতে পারি না। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পর তাদের রেজাল্টের জন্য খাতা দেখানো হচ্ছে। আর আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও খুব আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।’

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোকুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। গতকাল আমাদের সমন্বয় সভা হয়েছে। সাতটি উপজেলার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা জানিয়েছেন, কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাননি। তাছাড়া, আমরা হঠাৎ করেই বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শন করেও বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি দেখতে পাইনি। আর শিক্ষার্থীরাও যথারীতি ক্লাস করছে, এটা প্রশংসনীয়।’

উল্লেখ্য, জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষক সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ২১-২৫ মে অর্ধদিবস এবং ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানিকগঞ্জের সাড়ে ৬ শ’ প্রাথমিকে কর্মবিরতির ‘প্রভাব নেই’

আপডেট সময় : ০১:২৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

তিন দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করলেও এর কোনো ‘প্রভাব পড়েনি’ মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার সাড়ে ৬ শ’র বেশি বিদ্যালয়ে।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) সকালেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তবে, অন্যান্য দিনের চেয়ে উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলায় মোট ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কোথাও কর্মবিরতির কারণে পাঠদান বন্ধ হয়নি।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যস্ত শিক্ষকরা। অপরদিকে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে বসিয়ে বাইরের ভবনে অপেক্ষা করছেন।

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া বলে, ‘বৃষ্টি হইলেও আমি স্কুলে আসছি। তবে, আমার কয়েকজন বন্ধু বৃষ্টির কারণে ক্লাসে আসেনি। ম্যাডাম আজকে আমাদের পরীক্ষার খাতা দেখাইছেন।’

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি জানায়, বাসায় তো সব সময় ভালো লাগে না। স্কুলে আসলে বন্ধুদের পাই, তাই ছাতা নিয়েই বৃষ্টির মধ্যে স্কুলে আসছি। স্যার, ম্যাডাম ক্লাস নেন, ভালো লাগে।

৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘আমরাও চাই দাবি পূরণ হোক। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক, তা আমরা চাই না। সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ করতে পারি না। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পর তাদের রেজাল্টের জন্য খাতা দেখানো হচ্ছে। আর আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও খুব আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।’

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোকুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। গতকাল আমাদের সমন্বয় সভা হয়েছে। সাতটি উপজেলার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা জানিয়েছেন, কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাননি। তাছাড়া, আমরা হঠাৎ করেই বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শন করেও বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি দেখতে পাইনি। আর শিক্ষার্থীরাও যথারীতি ক্লাস করছে, এটা প্রশংসনীয়।’

উল্লেখ্য, জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষক সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ২১-২৫ মে অর্ধদিবস এবং ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।