ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মেঘনা উত্তাল, হাতিয়ায় নৌ যোগাযোগ বন্ধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে সকাল থেকে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে তীব্র বাতাসও হচ্ছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়ছে।

তিনি আরও বলেন, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগার, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগারে অবস্থানরত সকল মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সাগরে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত জারি করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, সাগর উত্তাল থাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে সব ধরনের নৌ পরাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে। এছাড়া সকল ধরনের মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীপাড়ে এবং নৌঘাটে স্থাপিত দোকানপাট সরিয়ে দিতে হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে কিছু দোকান ভেঙে নদীতে ভেসে গেছে। নিঝুম দ্বীপের চারপাশে কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিকাক আহমেদ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষেণে রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিপূর্ণ ঐলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলোর দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেঘনা উত্তাল, হাতিয়ায় নৌ যোগাযোগ বন্ধ

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে সকাল থেকে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে তীব্র বাতাসও হচ্ছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়ছে।

তিনি আরও বলেন, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগার, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগারে অবস্থানরত সকল মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সাগরে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত জারি করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, সাগর উত্তাল থাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে সব ধরনের নৌ পরাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে। এছাড়া সকল ধরনের মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীপাড়ে এবং নৌঘাটে স্থাপিত দোকানপাট সরিয়ে দিতে হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে কিছু দোকান ভেঙে নদীতে ভেসে গেছে। নিঝুম দ্বীপের চারপাশে কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিকাক আহমেদ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষেণে রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিপূর্ণ ঐলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলোর দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।