শনিবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি, এরপর শুরু ‘হিট ওয়েব’

- আপডেট সময় : ১২:২৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়ে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে সারাদেশে। বিকেল থেকে বৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ। তিনি জানান, নিম্নচাপটি বর্তমানে খুলনা হয়ে রাজশাহীর দিকে যাবে। এতে আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি বৃদ্ধি পাওয়ায় কথা রয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) বেলা ১২টার দিকে এই আবহাওয়াবিদ আরো জানান, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে সারাদিন ধরে বেশি বৃষ্টি হবে। আর পরেরদিন (শনিবার) দুপুর পর থেকে বৃষ্টি কমে যেতে শুরু করবে। এরপর তাপমাত্রা অধিক বৃদ্ধি পাবে। এতে ‘হিট ওয়েভ’ চলে আসবে। তবে বাতাসের বেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকায় নিম্নচাপে বাতাস থেকে বৃষ্টি বেশি হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আরো জানিয়েছে, নিম্নচাপ আরো ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে বৃষ্টি বাড়বে, তবে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ‘আশঙ্কা নেই’। নিম্নচাপটি বর্তমানে খুলনা আছে। এটি যশোর হয়ে রাজশাহী যাবে। বাতাসের বেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে থাকবে। নিম্নচাপ হওয়ায় বাতাস থেকে বৃষ্টি বেশি হবে।
মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়, যা পরে আরো ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নিম্নচাপে পরিণত হয়।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরো ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা চলতে পারে আরো দুয়েক দিন।
বুধবার টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুরের ডিমলায়, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।