ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তীব্র গরমে হজ পালনে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তীব্র গরমের মধ্যে পবিত্র হজ পালন সহজ করতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। রাস্তাঘাট শীতল রাখা থেকে শুরু করে হজযাত্রীদের সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা তো থাকছেই; চলতি বছর খুতবাও হবে সংক্ষিপ্ত। প্রশাসনের তরফ থেকে যতোই ব্যবস্থা নেয়া হোক না কেন; চিকিৎসকরা বলছেন, খরতাপে সুস্থভাবে হজ শেষ করতে ব্যক্তিগত প্রস্তুতি জরুরি।

মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা, পবিত্র হজের সময় এগিয়ে আসছে। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে যাত্রা শুরু করছেন পবিত্র ভূমির উদ্দেশে।

মরুর দেশ সৌদি আরবে এ বছর গরমের তীব্রতা নিয়ে শঙ্কায় অনেকেই। সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক তথ্যমতে, গেল বছর দেশটিতে হজ পালনের সময় প্রাণ গেছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষের।

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হজ। সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন বাধ্যতামূলক। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে হজ অনুষ্ঠিত হয়, গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে যে সময়টি প্রতি বছর একটু করে এগিয়ে আসে। চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতার দিন ৫ জুন ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার অর্থাৎ গ্রীষ্মের ঠিক শুরুতে।

বেশ কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবে তীব্র গরমে হয়ে আসছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। গেল বছর সর্বোচ্চ ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ উঠতে দেখেছিলেন হাজিরা। প্রচণ্ড গরমে মৃত্যু হয় এক হাজারের বেশি হজযাত্রীর।

সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য, চলতি বছরও মক্কা-মদিনাসহ পবিত্র এলাকাগুলোতে তীব্র গরমের আভাস রয়েছে। সর্বনিম্ন ২৭ থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে তাপমাত্রা, বাতাসে আর্দ্রতা থাকতে পারে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।

চিকিৎসকরা জানান, তীব্র গরম, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক জটিলতা এবং উপসর্গ বুঝতে ও চিকিৎসা গ্রহণে বিলম্বের মতো কারণে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয় হাজিদের। দেহের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা আকস্মিক দ্রুততায় বেড়ে গেলে শরীর শীতল করার নিজস্ব সক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায় এবং মাল্টি অর্গান ফেইলিউর ঘটে অর্থাৎ একে একে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

হজের সময় বহু মানুষের ভিড় আর অতিরিক্ত চাপে ক্লান্তি খুব দ্রুত হিটস্ট্রোকে রূপ নিতে পারে। অনেক হজযাত্রীই ক্লান্তি উপেক্ষা করে হজের রীতি পালন অব্যাহত রাখেন। যার ফলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে বলছেন চিকিৎসকরা।

তীব্র গরমে হজযাত্রা সহজ করতে পানি ও ছাতা বিতরণ, ছাউনি ও গাছের ছায়াঘেরা হাঁটাপথ নির্মাণ, পানি ছিটিয়ে পরিবেশ শীতল রাখা, ঝর্ণা স্থাপন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে সৌদি সরকার। চলতি বছর জুম্মার নামাজ এবং আরাফাতের ময়দানে খুতবার সময়, এমনকি আজান থেকে খুতবার মাঝে বিরতিও সংক্ষিপ্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, তাপ কমাতে সহায়ক চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সাদা রঙের সড়ক এ বছর নির্মাণ করেছে সৌদি সরকার। আরাফাতের ময়দানে গিয়ে শেষ হওয়া সড়কটি ফুটপাথে সূর্যের আলো প্রতিফলনের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমাতে সক্ষম। এছাড়া বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের স্বস্তি দিতে সড়কে যোগ করা হয়েছে রাবারযুক্ত অ্যাসফল্ট।

এ বছর হজযাত্রীদের পরিধানযোগ্য হিট মনিটর দেবে হজ কর্তৃপক্ষ। সৌদি ডেটা অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অথোরিটির দেয়া স্মার্ট সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হবে। কিন্তু এসব কিছুই যথেষ্ট হবে না। যদি হজপ্রত্যাশীরা পর্যাপ্ত পানি পান, সূর্যের তাপ প্রতিরোধ, ভিড় এড়িয়ে চলা কিন্তু দলবদ্ধ থাকা, মাস্ক পরা এবং অসুস্থ বোধ হওয়ামাত্র তা জানানোর মতো ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন।

হজপ্রত্যাশীদের জন্য চলতি বছর ১১টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, ৯০০ অ্যাম্বুলেন্স, সাড়ে সাত হাজারের বেশি চিকিৎসক মোতায়েন এবং ৭১টি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র ও তিনটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করেছে সৌদি আরব। গেল বছরের তুলনায় এবারের হজের মৌসুমে শয্যা বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ।

এ ছাড়া গরমে ক্লান্তি থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে প্রত্যাশীদের সচেতন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমানে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়। হজের সময় সাথে কী কী নেয়া জরুরি, কী কী টিকা নিতে হবে, হৃৎপিণ্ড, কিডনি ভালো রাখতে এবং শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করণীয় সবকিছুই বারবার বলে দেয়া হচ্ছে প্রত্যাশীদের।

একইসঙ্গে অনুমতিবিহীন হজ পালন থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হচ্ছে। কারণ যারা এ ধরনের কাজ করবেন, তারা সৌদি সরকারের কোনো সেবাই পাবেন না।

প্রায় পাঁচ দিনে ধারাবাহিকভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন লাখ লাখ মুসল্লি, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৮ লাখের বেশি। আরাফার দিনে অর্থাৎ হজের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক দিনটিতে, আরাফাত পর্বতে জড়ো হবেন মুসল্লিরা। যেখানে বিদায়ী হজের ভাষণ দিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সে প্রকাশিত ২০১৯ সালের গবেষণায় বলা হয়, জলবায়ু ও হজের মৌসুম পরিবর্তনের ফলে ২০৪৭ থেকে ২০৫২ এবং ২০৭৯ থেকে ২০৮৬ সাল হজপ্রত্যাশীরা গরমের কারণে চরম বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র গরমে হজ পালনে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

তীব্র গরমের মধ্যে পবিত্র হজ পালন সহজ করতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। রাস্তাঘাট শীতল রাখা থেকে শুরু করে হজযাত্রীদের সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা তো থাকছেই; চলতি বছর খুতবাও হবে সংক্ষিপ্ত। প্রশাসনের তরফ থেকে যতোই ব্যবস্থা নেয়া হোক না কেন; চিকিৎসকরা বলছেন, খরতাপে সুস্থভাবে হজ শেষ করতে ব্যক্তিগত প্রস্তুতি জরুরি।

মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা, পবিত্র হজের সময় এগিয়ে আসছে। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে যাত্রা শুরু করছেন পবিত্র ভূমির উদ্দেশে।

মরুর দেশ সৌদি আরবে এ বছর গরমের তীব্রতা নিয়ে শঙ্কায় অনেকেই। সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক তথ্যমতে, গেল বছর দেশটিতে হজ পালনের সময় প্রাণ গেছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষের।

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হজ। সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন বাধ্যতামূলক। ইসলামিক বর্ষপঞ্জি অনুসারে হজ অনুষ্ঠিত হয়, গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে যে সময়টি প্রতি বছর একটু করে এগিয়ে আসে। চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতার দিন ৫ জুন ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার অর্থাৎ গ্রীষ্মের ঠিক শুরুতে।

বেশ কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবে তীব্র গরমে হয়ে আসছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। গেল বছর সর্বোচ্চ ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ উঠতে দেখেছিলেন হাজিরা। প্রচণ্ড গরমে মৃত্যু হয় এক হাজারের বেশি হজযাত্রীর।

সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য, চলতি বছরও মক্কা-মদিনাসহ পবিত্র এলাকাগুলোতে তীব্র গরমের আভাস রয়েছে। সর্বনিম্ন ২৭ থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে তাপমাত্রা, বাতাসে আর্দ্রতা থাকতে পারে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।

চিকিৎসকরা জানান, তীব্র গরম, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক জটিলতা এবং উপসর্গ বুঝতে ও চিকিৎসা গ্রহণে বিলম্বের মতো কারণে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয় হাজিদের। দেহের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা আকস্মিক দ্রুততায় বেড়ে গেলে শরীর শীতল করার নিজস্ব সক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায় এবং মাল্টি অর্গান ফেইলিউর ঘটে অর্থাৎ একে একে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

হজের সময় বহু মানুষের ভিড় আর অতিরিক্ত চাপে ক্লান্তি খুব দ্রুত হিটস্ট্রোকে রূপ নিতে পারে। অনেক হজযাত্রীই ক্লান্তি উপেক্ষা করে হজের রীতি পালন অব্যাহত রাখেন। যার ফলে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে বলছেন চিকিৎসকরা।

তীব্র গরমে হজযাত্রা সহজ করতে পানি ও ছাতা বিতরণ, ছাউনি ও গাছের ছায়াঘেরা হাঁটাপথ নির্মাণ, পানি ছিটিয়ে পরিবেশ শীতল রাখা, ঝর্ণা স্থাপন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে সৌদি সরকার। চলতি বছর জুম্মার নামাজ এবং আরাফাতের ময়দানে খুতবার সময়, এমনকি আজান থেকে খুতবার মাঝে বিরতিও সংক্ষিপ্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, তাপ কমাতে সহায়ক চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সাদা রঙের সড়ক এ বছর নির্মাণ করেছে সৌদি সরকার। আরাফাতের ময়দানে গিয়ে শেষ হওয়া সড়কটি ফুটপাথে সূর্যের আলো প্রতিফলনের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমাতে সক্ষম। এছাড়া বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের স্বস্তি দিতে সড়কে যোগ করা হয়েছে রাবারযুক্ত অ্যাসফল্ট।

এ বছর হজযাত্রীদের পরিধানযোগ্য হিট মনিটর দেবে হজ কর্তৃপক্ষ। সৌদি ডেটা অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অথোরিটির দেয়া স্মার্ট সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হবে। কিন্তু এসব কিছুই যথেষ্ট হবে না। যদি হজপ্রত্যাশীরা পর্যাপ্ত পানি পান, সূর্যের তাপ প্রতিরোধ, ভিড় এড়িয়ে চলা কিন্তু দলবদ্ধ থাকা, মাস্ক পরা এবং অসুস্থ বোধ হওয়ামাত্র তা জানানোর মতো ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন।

হজপ্রত্যাশীদের জন্য চলতি বছর ১১টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, ৯০০ অ্যাম্বুলেন্স, সাড়ে সাত হাজারের বেশি চিকিৎসক মোতায়েন এবং ৭১টি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র ও তিনটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করেছে সৌদি আরব। গেল বছরের তুলনায় এবারের হজের মৌসুমে শয্যা বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ।

এ ছাড়া গরমে ক্লান্তি থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে প্রত্যাশীদের সচেতন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমানে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়। হজের সময় সাথে কী কী নেয়া জরুরি, কী কী টিকা নিতে হবে, হৃৎপিণ্ড, কিডনি ভালো রাখতে এবং শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করণীয় সবকিছুই বারবার বলে দেয়া হচ্ছে প্রত্যাশীদের।

একইসঙ্গে অনুমতিবিহীন হজ পালন থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হচ্ছে। কারণ যারা এ ধরনের কাজ করবেন, তারা সৌদি সরকারের কোনো সেবাই পাবেন না।

প্রায় পাঁচ দিনে ধারাবাহিকভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন লাখ লাখ মুসল্লি, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৮ লাখের বেশি। আরাফার দিনে অর্থাৎ হজের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক দিনটিতে, আরাফাত পর্বতে জড়ো হবেন মুসল্লিরা। যেখানে বিদায়ী হজের ভাষণ দিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সে প্রকাশিত ২০১৯ সালের গবেষণায় বলা হয়, জলবায়ু ও হজের মৌসুম পরিবর্তনের ফলে ২০৪৭ থেকে ২০৫২ এবং ২০৭৯ থেকে ২০৮৬ সাল হজপ্রত্যাশীরা গরমের কারণে চরম বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন।