বাজেট সহায়তা, রেলপথ উন্নয়ন এবং বৃত্তি অনুদানসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ ও অনুদান দেবে জাপান। টোকিওতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ৬টি সমঝোতা স্মারকে সইয়ের পর এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার দেয় দেশটি।
প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরের তৃতীয় দিন। মূলত টোকিওতে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু পরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।
আজ (শুক্রবার, ৩০ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে লাল গালিচায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে পাশে ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। দুই রাষ্ট্রনেতার সামনে পরিবেশন করা হয় বন্ধু প্রতীম দুই দেশের জাতীয় সংগীতের সুরের মূর্ছনা।
এরপরই জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে স্মরণ করা হয় জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের ইতিহাস। এসময় বাংলাদেশের বাজেট সহায়তা ও রেলখাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে এক দশমিক ০৬৩ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতগুলো আলোচনা হয়েছে সবগুলোই নানা ইতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গতকাল জাইকা প্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ডিপ সি ফিশিংয়ের একটা বিষয়ে আলোচনা এসেছে। শুধু যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা তা না, নানা আরও যেসব ক্ষেত্র আছে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুইটা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সচরাচর যেসব আলোচনা হয়ে থাকে সেরকমই হয়েছে। আর জাপান তো আমাদের স্ট্র্যাটেজি পার্টনার হিসেবে আগে থেকেই আছে। আজকের আলোচনায় সেটা জাপানের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।’
এ ছাড়া সফরের তৃতীয় দিনে বিভিন্ন বৈঠকে জাপান ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য সহযোগিতা সংক্রান্ত ৬টি সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ।