বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে প্রশাসনের সতর্কতা

- আপডেট সময় : ০৫:২৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
- / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে

কখনও থেমে আবার কখনও অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে বান্দরবানে। আর বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক ভর করছে পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সতর্ক করতে শহরে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, দুই দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবানের মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আগের তুলনায় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।
তিনি বলেন, ‘সে অনুসারেই বন্যায় প্লাবিত এলাকা ও ভূমি ধসের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল সেগুলো এবং পাহাড় কেটে নতুন যে স্থাপনাগুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলোকে ফোকাস করে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’
এরইমধ্যে বান্দরবানে সদরসহ সাত উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তার মধ্যে বান্দরবান সদরে ৪৬টি, রুমায় ২৮টি, রোয়াংছড়িতে ১৯টি, থানচিতে ১৫টি, লামায় ৫৫টি, আলীকদমে ১৫টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালে জেলা সদরে চারজন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় দুইজন, ২০১২ সালে লামা ফাইতং ইউনিয়নে ২৮ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন, ২০১৩ সালে পৌর শহর কালাঘাটায় দুইজন, ২০১৪ সালে সদরে চারজন, ২০১৫ সালে লামায় ছয়জন ও সদরের বনরূপা পাড়ায় তিনজন, ২০১৭ সালের সদরের কালাঘাটায় সাতজন ও রুমা সড়কে পাঁচজন নিহত হন।
এ ছাড়া ২০১৮ সালে নাইক্ষ্যংছড়িতে তিনজন ও লামায় চারজন, ২০১৯ সালে লামায় একজন, ২০২০ সালে আলীকদমের মিরিঞ্জা এলাকায় একজন, ২০২১ সালে ছাইঙ্গ্যা ঝিরিতে এক পরিবারের তিনজন, ২০২৩ সালে মা-মেয়ে দুইজন ও সবশেষ চলতি বছরে নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধসে নিহত হন একজন কৃষক।