এবার চীনের ওপর শুল্ক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি। এর পাল্টা জবাবে বেইজিং জানায়, চীনা পণ্যের ওপর বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বড় দুই অর্থনীতির এমন পাল্টাপাল্টি দোষারোপে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধের।

গেল ১২ মে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা প্রতিনিধিদের বৈঠকে পরস্পরের ওপর উচ্চশুল্কারোপ কমানোর বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এই দুই দেশ। ৯০ দিনের জন্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাল্টাপাল্টি ১১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে চাঙ্গা হতে থাকে এই দুই দেশের শেয়ার বাজার, ঊর্ধ্বমুখী থাকে ডলারের দর।

তবে সপ্তাহ দুয়েক না যেতেই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ করছে দুই দেশ। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এর জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘গত চার সপ্তাহ আগেও চীনের অর্থনীতির করুন পরিস্থিতি ছিল। উচ্চ শুল্ক কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের বাণিজ্য করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

তবে চীন বলছে তাদের ওপর বৈষম্যমূলক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। যা চুক্তির আওতায় পরে না। অপরদিকে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বিষয়ক বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করেনি বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের।

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আবারও শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধের। এরইমধ্যে মার্কিন শেয়ার বাজারে কমতে শুরু করেছে স্টকের দর। নাসদাক, ডাও জোনস ও এস অ্যান্ড পি ফাইভ হান্ড্রেডের শেয়ার কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।