ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিপিএলে অনিয়ম-অবহেলায় ফারুককে অব্যাহতি, জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতির কারণে নয়, বরং বিপিএলে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণেই ফারুক আহমদকে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। গঠনতন্ত্র মেনে তাকে অপসারণ করায় আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি। আগামী নির্বাচনে স্বচ্ছপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত হবেন বলেও জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা।

বোর্ড পরিচালকদের অসংখ্য অভিযোগসহ অনাস্থা চিঠি আর বিপিএল অব্যবস্থাপনার সব দায় মাথায় নিয়ে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হয় ফারুক আহমেদকে। যদিও এর একদিন আগেও তিনি জোর গলায় বলেছিলেন, যথাযথ কারণ কিংবা অভিযোগ না দেখাতে পারলে পদত্যাগ করবেন না তিনি।

নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দায়িত্ব নেয়ার একদিন পর ফারুক আহমেদকে অপসারণের কারণ খোলাসা করলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তবে দুর্নীতির কারণে নয়, মূলত দেশের ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের কারণেই তার পরিচালক পদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিপিএলে দলগুলোর আর্থিক অনিয়মের বিষয়গুলো নিয়েও ফারুক আহমেদের দায়সারা ভাব ছিলো বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা এমন না যে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বা এই কারণে আমরা তাকে সরিয়েছি। রিপোর্টে আমরা দেখেছি যে, বিপিএলে অনেকগুলো অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে যে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, আপনারাই রিপোর্ট করেছেন সেগুলোতে মোটামুটি ফারুক ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আপনারা জানেন যে, খেলোয়ারদের টাকা বা বেতন দেয়ার জন্য সরকারকে পর্যন্ত ইনভল্ভ হতে হয়েছে। ৮-৯ জন পরিচালক আছেন, তারা কেউই আসলে তার সঙ্গে কাজ করেত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না।’

প্রশ্ন উঠেছিলো বিসিবির সভাপতি পদে সরকারের হস্তক্ষেপে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নিয়েও। তবে আসিফ মাহমুদ জানান গঠনতন্ত্র মেনেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা যদি ভালোভাবে দেখেন, আমরা কিন্তু প্রেসিডেন্টকে অপসরণ করিনি। পরিচালক মনোনয়নটা সরিয়ে নিয়েছি। বোর্ডের যারা আছেন তারা আমাদের বোর্ডের কন্সটিটিউশনের নিয়ম ও আইসিসির গাইডলাইন অনুসরণ করে আরেকজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিলেক্ট করেছে।’

অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচন। সেখানে পূর্নাঙ্গ ২৫ জনের পরিচালক সহ স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বিসিবিতে একটা লিডারশীপ ট্রানজিশন হবে। আমি মনে করি তখন প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠক এবং প্রকৃতভাবেই ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে পারবে এমন ব্যক্তিত্ব সামনে আসবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

বিপিএলে অনিয়ম-অবহেলায় ফারুককে অব্যাহতি, জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

দুর্নীতির কারণে নয়, বরং বিপিএলে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণেই ফারুক আহমদকে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। গঠনতন্ত্র মেনে তাকে অপসারণ করায় আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি। আগামী নির্বাচনে স্বচ্ছপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত হবেন বলেও জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা।

বোর্ড পরিচালকদের অসংখ্য অভিযোগসহ অনাস্থা চিঠি আর বিপিএল অব্যবস্থাপনার সব দায় মাথায় নিয়ে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হয় ফারুক আহমেদকে। যদিও এর একদিন আগেও তিনি জোর গলায় বলেছিলেন, যথাযথ কারণ কিংবা অভিযোগ না দেখাতে পারলে পদত্যাগ করবেন না তিনি।

নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দায়িত্ব নেয়ার একদিন পর ফারুক আহমেদকে অপসারণের কারণ খোলাসা করলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তবে দুর্নীতির কারণে নয়, মূলত দেশের ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের কারণেই তার পরিচালক পদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিপিএলে দলগুলোর আর্থিক অনিয়মের বিষয়গুলো নিয়েও ফারুক আহমেদের দায়সারা ভাব ছিলো বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা এমন না যে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বা এই কারণে আমরা তাকে সরিয়েছি। রিপোর্টে আমরা দেখেছি যে, বিপিএলে অনেকগুলো অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে যে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, আপনারাই রিপোর্ট করেছেন সেগুলোতে মোটামুটি ফারুক ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আপনারা জানেন যে, খেলোয়ারদের টাকা বা বেতন দেয়ার জন্য সরকারকে পর্যন্ত ইনভল্ভ হতে হয়েছে। ৮-৯ জন পরিচালক আছেন, তারা কেউই আসলে তার সঙ্গে কাজ করেত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না।’

প্রশ্ন উঠেছিলো বিসিবির সভাপতি পদে সরকারের হস্তক্ষেপে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নিয়েও। তবে আসিফ মাহমুদ জানান গঠনতন্ত্র মেনেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা যদি ভালোভাবে দেখেন, আমরা কিন্তু প্রেসিডেন্টকে অপসরণ করিনি। পরিচালক মনোনয়নটা সরিয়ে নিয়েছি। বোর্ডের যারা আছেন তারা আমাদের বোর্ডের কন্সটিটিউশনের নিয়ম ও আইসিসির গাইডলাইন অনুসরণ করে আরেকজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিলেক্ট করেছে।’

অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচন। সেখানে পূর্নাঙ্গ ২৫ জনের পরিচালক সহ স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে বিসিবিতে একটা লিডারশীপ ট্রানজিশন হবে। আমি মনে করি তখন প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠক এবং প্রকৃতভাবেই ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে পারবে এমন ব্যক্তিত্ব সামনে আসবে।’