ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২ রানের লক্ষ্যে তানজিদ তামিমের উড়ন্ত সূচনার পরেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৪৪ রানেই থেমেছে সফররতরা। ফল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ৫৭ রানের হার। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করলো স্বাগতিকরা।

দেশের মানুষ যাদের ভালোবেসে টাইগার ডাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এলেই যেন মেছো বিড়ালে পরিণত হয় তারা। ফলশ্রুতিতে আরব আমিরাত হোক কিংবা পাকিস্তান, লজ্জাজনক হারই যেন নিয়তি।

২০২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ তামিম-পারভেজ ইমন জুটি যেভাবে শুরু করেছে যেকোনো দলের জন্যই সেটিকে স্বপ্নই বলা যায়। ১৭ বলে ৪৪ রানের জুটিতে ইমনের অবদান মাত্র ৮। আর একটি চার হাঁকিয়েই বিদায় নেয় ইমন। সঙ্গীর পথ ধরেন মাত্র ১৯ বলে ৩৩ রান করা তামিমও।

উড়ন্ত সূচনার পর সমর্থকরা যখন আশায় বুক বাঁধছে বহুল প্রতীক্ষিত জয়ের সেখানেই রীতিমতো পানি ঢেলে দিলেন শততম ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক লিটন। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা রেখে এদিনও খোলস থেকে বেরোতে পারেননি হৃদয় আর রানের খাতা খোলার আগেই আউট হালের সেনসেশন জাকের আলি অনিক।

শামীম হোসেন পাটোয়ারিও জাতীয় দলের জার্সি আবারো অচেনা। শতরানের নিচে অল আউট হবার শঙ্কা যখন জেকে বসেছে, তখন ব্যাট হাতে হাল ধরলেন কিছুদিন আগেই বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া মেহেদি মিরাজ। আর তানজিম সাকিব ব্যাট হাতে যা করলেন তাতে লিটন-হৃদয়রা যেন তার কাছে দীক্ষাই নিতে চাইবেন। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে শতরান পেরোয় বাংলাদেশ।

শেষদিকে মেহেদি মিরাজের ২৩ ও সাকিবের ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে হারের ব্যবধানই কমিয়েছে সফররতরা। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিনও শুরুতেই সাইম আইয়ুবকে ফেরায় টাইগাররা। পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আরেক ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস। ১০৩ রানের জুটি গড়ে হারিস বিদায় নিয়েও ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে ৭৪ রান করেন ফারহান।

বলহাতে এদিনও ব্যর্থ বাংলাদেশি বোলাররা। সাঈম আইয়ুব, শাদাব খান ও ফাহিম আশরাফ ছাড়া বাকি সব পাকিস্তানি ব্যাটার হাসান-সাকিব-রিশাদদের পাড়ার বোলারের মতো তুলোধোনা করে রান করেছেন দেড়শর বেশি স্ট্রাইক রেট রেখে।

শেষদিকে হাসান নাওয়াজের অপরাজিত ফিফটি ও অধিনায়ক সালমান আঘার ক্যামিওতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

নিউজটি শেয়ার করুন

হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১২:১৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২ রানের লক্ষ্যে তানজিদ তামিমের উড়ন্ত সূচনার পরেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৪৪ রানেই থেমেছে সফররতরা। ফল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ৫৭ রানের হার। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করলো স্বাগতিকরা।

দেশের মানুষ যাদের ভালোবেসে টাইগার ডাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এলেই যেন মেছো বিড়ালে পরিণত হয় তারা। ফলশ্রুতিতে আরব আমিরাত হোক কিংবা পাকিস্তান, লজ্জাজনক হারই যেন নিয়তি।

২০২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ তামিম-পারভেজ ইমন জুটি যেভাবে শুরু করেছে যেকোনো দলের জন্যই সেটিকে স্বপ্নই বলা যায়। ১৭ বলে ৪৪ রানের জুটিতে ইমনের অবদান মাত্র ৮। আর একটি চার হাঁকিয়েই বিদায় নেয় ইমন। সঙ্গীর পথ ধরেন মাত্র ১৯ বলে ৩৩ রান করা তামিমও।

উড়ন্ত সূচনার পর সমর্থকরা যখন আশায় বুক বাঁধছে বহুল প্রতীক্ষিত জয়ের সেখানেই রীতিমতো পানি ঢেলে দিলেন শততম ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক লিটন। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা রেখে এদিনও খোলস থেকে বেরোতে পারেননি হৃদয় আর রানের খাতা খোলার আগেই আউট হালের সেনসেশন জাকের আলি অনিক।

শামীম হোসেন পাটোয়ারিও জাতীয় দলের জার্সি আবারো অচেনা। শতরানের নিচে অল আউট হবার শঙ্কা যখন জেকে বসেছে, তখন ব্যাট হাতে হাল ধরলেন কিছুদিন আগেই বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া মেহেদি মিরাজ। আর তানজিম সাকিব ব্যাট হাতে যা করলেন তাতে লিটন-হৃদয়রা যেন তার কাছে দীক্ষাই নিতে চাইবেন। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে শতরান পেরোয় বাংলাদেশ।

শেষদিকে মেহেদি মিরাজের ২৩ ও সাকিবের ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে হারের ব্যবধানই কমিয়েছে সফররতরা। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিনও শুরুতেই সাইম আইয়ুবকে ফেরায় টাইগাররা। পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আরেক ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস। ১০৩ রানের জুটি গড়ে হারিস বিদায় নিয়েও ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে ৭৪ রান করেন ফারহান।

বলহাতে এদিনও ব্যর্থ বাংলাদেশি বোলাররা। সাঈম আইয়ুব, শাদাব খান ও ফাহিম আশরাফ ছাড়া বাকি সব পাকিস্তানি ব্যাটার হাসান-সাকিব-রিশাদদের পাড়ার বোলারের মতো তুলোধোনা করে রান করেছেন দেড়শর বেশি স্ট্রাইক রেট রেখে।

শেষদিকে হাসান নাওয়াজের অপরাজিত ফিফটি ও অধিনায়ক সালমান আঘার ক্যামিওতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।