শি জিনপিংয়ের মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান

- আপডেট সময় : ০১:১২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন কট্টর ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার লরা লুমার। তাঁর দাবি, শি জিনপিংয়ের মেয়ে শি মিংজে এখনো ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে বসবাস করছেন। তবে তিনি তাঁর দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক জানিয়েছে, শি জিনপিংয়ের মেয়ে শি মিংজে ২০১৪ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর তিনি চীনে ফিরে গেছেন এবং অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে জীবনযাপন করছেন।
তবে লরা লুমার দাবি করেছেন, শি মিংজে এখনো যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে লুমার দাবি করেছেন, ‘তিনি (শির মেয়ে) ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং তিনি হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন। আমার সূত্র অনুযায়ী, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সদস্যরা তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নিরাপত্তা দেন।’
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘শি জিনপিংয়ের মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করো।’
নিউজউইক জানিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এবং লুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু কেউই মন্তব্য করেনি।
সি মিংজে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন—এমন কোনো প্রমাণ না থাকলেও লুমারের এ অভিযোগ এমন এক সময়ে এল, যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে রুবিও লিখেছেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত বা সংবেদনশীল বিষয়ে পড়াশোনা করছেন, এমন শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেছে, শিক্ষার কোনো রকম ব্যাঘাত হওয়া উচিত নয় এবং দেশটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও বিখ্যাত লোকগায়িকা পেং লিউয়ানের একমাত্র মেয়ে সি মিংজের জন্ম ১৯৯২ সালে। তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ছদ্মনামে মনোবিজ্ঞান পড়াশোনা শেষ করেছেন। তবে রাজনৈতিক ভাষ্যকার লরা লুমারের দাবি, তিনি পড়াশোনা শেষ করলেও যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেননি।
সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সব ভিসাধারীর ওপর বাড়তি নজরদারি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর হার্ভার্ড–সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী, ব্যবসা, ভ্রমণ ও অন্যান্য ভিসার বিষয়গুলো আবার যাচাই-বাছাই করছে।