ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, মার্কিন ত্রাণ সংস্থাকে দায়ী করল এনজিও

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স রোববার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি নতুন সংস্থা পরিচালিত গাজার ত্রাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা করা লোকজনকে ইসরায়েলি বাহিনী ‘চারদিক থেকে গুলিবিদ্ধ’ করার কথা জানিয়েছে।

ফরাসি নাম এমএসএফ নামে পরিচিত এনজিওটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলার জন্য গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে।

জিএইচএফ এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো ঘটনা অস্বীকার করলেও এমএসএফ ও অন্যান্য চিকিৎসকরা নিকটবর্তী খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে স্থানীয়দের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এমএসএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, “রোগীরা এমএসএফকে জানিয়েছেন, চারদিক থেকে ড্রোন, হেলিকপ্টার, নৌকা, ট্যাংক ও ইসরায়েলি সেনারা তাদের গুলি করেছে।

এমএসএফের জরুরি সমন্বয়ক ক্লেয়ার মানেরা এক বিবৃতিতে জিএইচএফের ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থাকে ‘অমানবিক, বিপজ্জনক এবং মারাত্মকভাবে অকার্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

“এর ফলে বেসামরিক লোকজনের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে যা প্রতিরোধ করা যেত। মানবিক সহায়তা কেবল মানবিক সংস্থাগুলোই সরবরাহ করতে হবে, যাদের নিরাপদে ও কার্যকরভাবে এটি করার যোগ্যতা ও দৃঢ় সংকল্প রয়েছে।

এমএসএফের কমিউনিকেশন অফিসার নুর আলসাকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হাসপাতালের করিডোরগুলো রোগীতে ভরে গেছে, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ, ‘তাদের হাতে দৃশ্যমান গুলির ক্ষত’ রয়েছে।

মনসুর সামি আবদি নামে আহত এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে এমএসএফ জানিয়েছে, মাত্র পাঁচ প্যালেট ত্রাণ নিয়ে লোকজনের লড়াই চলছে।

“তারা আমাদের খাবার নিয়ে যেতে বলে- তারপর তারা চারদিক থেকে গুলি চালায়,” বলেন তিনি। “এটা সাহায্য নয়। এটা মিথ্যা কথা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তাদের সৈন্যরা ‘মানবিক ত্রাণ বিতরণ স্থানের কাছাকাছি বা ভেতরে থাকা অবস্থায় বেসামরিকদের ওপর গুলি চালায়নি।

জিএইচএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এসব ভুয়া প্রতিবেদন সক্রিয়ভাবে উসকে দিয়েছে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস, যাকে ইসরাইল গাজায় ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, মার্কিন ত্রাণ সংস্থাকে দায়ী করল এনজিও

আপডেট সময় : ১২:১০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স রোববার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি নতুন সংস্থা পরিচালিত গাজার ত্রাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা করা লোকজনকে ইসরায়েলি বাহিনী ‘চারদিক থেকে গুলিবিদ্ধ’ করার কথা জানিয়েছে।

ফরাসি নাম এমএসএফ নামে পরিচিত এনজিওটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলার জন্য গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে।

জিএইচএফ এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো ঘটনা অস্বীকার করলেও এমএসএফ ও অন্যান্য চিকিৎসকরা নিকটবর্তী খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে স্থানীয়দের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এমএসএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, “রোগীরা এমএসএফকে জানিয়েছেন, চারদিক থেকে ড্রোন, হেলিকপ্টার, নৌকা, ট্যাংক ও ইসরায়েলি সেনারা তাদের গুলি করেছে।

এমএসএফের জরুরি সমন্বয়ক ক্লেয়ার মানেরা এক বিবৃতিতে জিএইচএফের ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থাকে ‘অমানবিক, বিপজ্জনক এবং মারাত্মকভাবে অকার্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

“এর ফলে বেসামরিক লোকজনের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে যা প্রতিরোধ করা যেত। মানবিক সহায়তা কেবল মানবিক সংস্থাগুলোই সরবরাহ করতে হবে, যাদের নিরাপদে ও কার্যকরভাবে এটি করার যোগ্যতা ও দৃঢ় সংকল্প রয়েছে।

এমএসএফের কমিউনিকেশন অফিসার নুর আলসাকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হাসপাতালের করিডোরগুলো রোগীতে ভরে গেছে, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ, ‘তাদের হাতে দৃশ্যমান গুলির ক্ষত’ রয়েছে।

মনসুর সামি আবদি নামে আহত এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে এমএসএফ জানিয়েছে, মাত্র পাঁচ প্যালেট ত্রাণ নিয়ে লোকজনের লড়াই চলছে।

“তারা আমাদের খাবার নিয়ে যেতে বলে- তারপর তারা চারদিক থেকে গুলি চালায়,” বলেন তিনি। “এটা সাহায্য নয়। এটা মিথ্যা কথা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, তাদের সৈন্যরা ‘মানবিক ত্রাণ বিতরণ স্থানের কাছাকাছি বা ভেতরে থাকা অবস্থায় বেসামরিকদের ওপর গুলি চালায়নি।

জিএইচএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এসব ভুয়া প্রতিবেদন সক্রিয়ভাবে উসকে দিয়েছে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস, যাকে ইসরাইল গাজায় ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছে।