দাম বাড়ছে যেসব পণ্যের

- আপডেট সময় : ০৪:৫২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই বাজেট উপস্থাপন করেন।
বাজেট বক্তৃতার পাশাপাশি অর্থ বিল ও কাস্টমসের প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্ক-কর কার্যকর হয় সঙ্গে সঙ্গেই। ফলে যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, সেগুলোর দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রভাব বাজারে দ্রুত পড়ে, যদিও কর কমানোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে দেরিতে আসে।
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
মুঠোফোন:
দেশে উৎপাদন ও সংযোজন খাতে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমানো হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোনের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইলেকট্রিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স:
ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, আয়রন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার প্রভৃতি পণ্যের ওপর ভ্যাট সুবিধা আংশিক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্লাস্টিকের তৈজসপত্র:
থালাবাসনসহ ঘরোয়া ব্যবহারের প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর ভ্যাট দ্বিগুণ হয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে পরিবেশবান্ধব তৈজসপত্রে ভ্যাট ছাড় বহাল রয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডার:
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এলপিজি সিলিন্ডারের ওপর ভ্যাট ছাড়ের পরিমাণ কমিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে সিলিন্ডারের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
বিদেশি চকলেট:
বিদেশি চকলেটের শুল্কায়ন মূল্য বাড়িয়ে ইউনিটপ্রতি ৪ ডলার থেকে ১০ ডলার করা হয়েছে, যার ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে।
লিপস্টিক ও প্রসাধনী:
ঠোঁট, চোখ ও মুখের প্রসাধন পণ্যের ওপর শুল্কায়ন মূল্য অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। ফলে বাজারে এসব কসমেটিকসের দামও বাড়তে পারে।
ব্লেড:
দেশীয়ভাবে উৎপাদিত ব্লেডের ওপর ভ্যাট ২.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে দাঁড়ি কাটার খরচও বাড়বে।
অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া এবং রাজস্ব আদায় বাড়ানোই এসব শুল্ক-কর বৃদ্ধির মূল উদ্দেশ্য। তবে ভোক্তারা এতে কিছুটা চাপের মুখে পড়বেন বলেও মন্তব্য করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।