ঈদে কোরবানি নয়, চলবে ক্ষুধা আর কান্নার রোল

- আপডেট সময় : ১০:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
- / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

যুদ্ধের মধ্যেই এবার দ্বিতীয়বারের মতো কোরবানির ঈদ পালন করবেন গাজাবাসী। যুদ্ধ শুরুর পর উপত্যকায় প্রবেশ করেনি কোনো জীবন্ত প্রাণী। যেখানে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন মানুষ, সেখানে পশুখাদ্য খুঁজে পাওয়া দায়। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ঈদ ঘিরে হাটে উঠেছে কিছু পশু। তবে সেগুলোর দাম বাসিন্দাদের নাগালের বাইরে।
যুদ্ধের মধ্যেই এবার দ্বিতীয়বারের মতো কোরবানির ঈদ পালন করবেন গাজাবাসী। যুদ্ধ শুরুর পর উপত্যকায় প্রবেশ করেনি কোনো জীবন্ত প্রাণী। যেখানে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন মানুষ, সেখানে পশুখাদ্য খুঁজে পাওয়া দায়। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ঈদ ঘিরে হাটে উঠেছে কিছু পশু। তবে সেগুলোর দাম বাসিন্দাদের নাগালের বাইরে।
এবারের ঈদের দিনেও কোরবানি নয়, গাজায় চলবে ক্ষুধা আর কান্নার রোল। খুশি, উৎসব আর ত্যাগের মহিমায় কোরবানির ঈদ আসলেও, ফিলিস্তিনিদের জীবনে নেই কোনো ভিন্নতা। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত গোটা উপত্যকা এখন চরম দুর্ভিক্ষের মুখে।
একবেলা খাবারের জন্য হাহাকার করছে গাজাবাসী। নেই বেঁচে থাকার ন্যূনতম চিকিৎসা সামগ্রী। ইসরাইলিদের নিষ্ঠুরতায় মুছে গেছে ফিলিস্তিনিদের ঈদের খুশি। আরব রাষ্ট্রসহ মুসলিম বিশ্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গাজার বাসিন্দারা।
গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের এই দুর্দশার মধ্যে আরব বিশ্ব কীভাবে ঈদ উদযাপন করবে? আমরা মৃত্যুর জন্য লড়ছি। অথচ আরব রাষ্ট্রের চোখে তা পড়ছে না।’
এ বছর গাজায় কোরবানির পশু প্রবেশের অনুমতি মেলেনি। ফলে ঈদে কোরবানির তো প্রশ্নই ওঠে না। মাসের পর মাস এক টুকরো মাংসের মুখ দেখেননি বহু ফিলিস্তিনি পরিবার। খোলা আকাশের নিচে, অনাহারে অর্ধাহারে কাটবে ঈদের দিন।
গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে আরেকজন বলেন, ‘এ বছর আমার কাছে খাওয়ার টাকা নেই। তাও বাজারে এসে ঘুরছি। যদি কিছু একটা ব্যবস্থা করতে পারি।’
অধিকৃত পশ্চিম তীরে সীমিত সংখ্যক পশু থাকলেও সেগুলোর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এক কেজি ভেড়ার মাংসের দাম ১২ মার্কিন ডলার। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই অঞ্চলে পশুপালনও হয়ে উঠেছে অসম্ভব।
গাজার স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘সবকিছুই চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভরশীল। যার ফলে পশুর দাম বেড়েছে বহুগুণ।’
আরেকজন বলেন, ‘যুদ্ধে ধসে পড়েছে গাজার অর্থনীতি। পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাধায় দুর্ভোগের মুখে ফিলিস্তিনিরা।’ গাজার কোরবানির হাটগুলোতে নেই উৎসবের আমেজ। এ ছাড়া যেকোনো সময় হাটগুলোতে ইসরাইলিদের হামলার শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।