১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ (বুধবার, ৫ জুন) একটি নির্বাহী আদেশে ১২টি মুসলিমপ্রধান ও উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে দরিদ্র ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মানুষের প্রতি বৈষম্যের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্লেষকরা।
জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ভিসা ও অভিবাসনে সীমাবদ্ধতা আনবে।
হোয়াইট হাউস তেকে জানানো তথ্য অনুযায়ী, এ নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ হলো কিছু দেশের দুর্বল ভিসা যাচাই ব্যবস্থা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ঝুঁকি। সিদ্ধান্তটির প্রেক্ষাপটে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বোল্ডারে বসবাসকারী একজন অবৈধ মিশরীয় নাগরিকের হাতে সংঘটিত সাম্প্রতিক একটি সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করা হলেও মিশর এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েনি।
জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা নিয়মিতই সমালোচনা করে আসছে এবং সাধারণত এ ধরনের পদক্ষেপগুলোকে বৈষম্যমূলক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের আগের মেয়াদে ২০১৭ সালে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর ওপর বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তীব্র আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। যা পরে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদন দিয়েছিল। বর্তমান নিষেধাজ্ঞাটিও ওই নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।