জার্মানির সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনে তিন বছর সময় আছে : কর্মকর্তা

- আপডেট সময় : ১০:৪১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

ন্যাটো ভূখণ্ডে সম্ভাব্য রুশ আক্রমণ মোকাবেলার জন্য জার্মানির সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য তিন বছর সময় আছে। সামরিক ক্রয় প্রধান শনিবার একথা জানিয়েছেন।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এবং সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো সদস্যদের তাদের প্রতিশ্রুতি বাড়ানোর জন্য চাপ দেওয়ার পর থেকে প্রতিরক্ষা ব্যয় রাজনৈতিক এজেন্ডাকে বাড়িয়ে তুলেছে। বার্লিন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ফেডারেল অফিস ফর মিলিটারি প্রকিউরমেন্টের প্রধান অ্যানেট লেহনিগ-এমডেন ‘টেগেসপিগেল’ সংবাদপত্রকে বলেছেন ‘দেশকে রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু ২০২৮ সালের মধ্যে অর্জন করতে হবে।’
প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল কার্স্টেন ব্রুয়ার সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া ২০২৯ সালের প্রথম দিকে ‘ন্যাটো ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ আকারের আক্রমণ শুরু করার’ পরিকল্পনা করতে পারে।
তিনি বলেছেন, ন্যাটোর বাল্টিক সদস্যদের ওপর সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য রাশিয়া গোলাবারুদ এবং ট্যাঙ্ক মজুত করছে।
লেহনিগ-এমডেন জোর দিয়ে বলেছেন, চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জের নতুন সরকার প্রতিরক্ষার জন্য শত শত বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করে এই আপগ্রেডকে সক্ষম করছে।
তিনি বলেছেন, স্কাইরেঞ্জার বিমান বিধ্বংসী ট্যাঙ্কের মতো ভারী সরঞ্জামের অগ্রাধিকার থাকবে।
মের্জ তার জোট সরকারের পুনর্সজ্জনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন যাতে এটি ‘ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রচলিত সেনাবাহিনী’ হিসেবে গড়ে ওঠে।
রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর ওলাফ স্কোলজের পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে পুনর্নির্মাণ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বছর ন্যাটো সদস্যদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বর্তমান দুই শতাংশ থেকে জিডিপির পাঁচ শতাংশে উন্নীত করার জন্য চাপ আরো বাড়িয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বৃহস্পতিবার বলেছেন, ন্যাটোর বর্ধিত প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে আগামী বছরগুলোতে ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ নতুন সৈন্যের প্রয়োজন হবে।
গত বছর, সেনাবাহিনীতে ১,৮০,০০০ এরও বেশি সৈন্য ছিল এবং ২০৩১ সালের মধ্যে ২০৩,০০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।