ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির বাণী হুবহু তুলে ধরা হলো-

ঈদ মোবারক
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগের শিক্ষা। হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে উৎসর্গ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি যে অগাধ ভালোবাসা ও অবিচল আনুগত্যের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা মানবজাতির ইতিহাসে অতুলনীয় এবং আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।

কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে। ধনী-গরিবসহ সমাজের সবাইকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। আমাদের সমাজে দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। ঈদুল আজহার সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের সুমহান আদর্শকে ধারণ করে তাদের সঙ্গেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক-এটাই সবার কাম্য।

পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির পাশাপাশি যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক কল্যাণ ও সমৃদ্ধি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

আপডেট সময় : ০৮:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির বাণী হুবহু তুলে ধরা হলো-

ঈদ মোবারক
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগের শিক্ষা। হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে উৎসর্গ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি যে অগাধ ভালোবাসা ও অবিচল আনুগত্যের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা মানবজাতির ইতিহাসে অতুলনীয় এবং আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।

কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে। ধনী-গরিবসহ সমাজের সবাইকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। আমাদের সমাজে দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। ঈদুল আজহার সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের সুমহান আদর্শকে ধারণ করে তাদের সঙ্গেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে প্রতিফলিত হোক-এটাই সবার কাম্য।

পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির পাশাপাশি যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জীবনে বয়ে আনুক কল্যাণ ও সমৃদ্ধি।