ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দফায় দফায় গুলির লড়াইয়ে দুই নাগা বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা নাগা বিদ্রোহী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর সদস্য বলে দাবি করেছেন ভারতীয় সেনারা।

অরুণাচলের লংডিং জেলার দুর্গম এলাকায় সেনা ও আসাম রাইফেলসের যৌথ বাহিনী প্রথম হামলার মুখে পড়ে শুক্রবার। এরপর সেনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে দুই বিদ্রোহীর মৃত্যু ঘটে, এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭, এম-৪ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও একটি গ্রেনেড লঞ্চার উদ্ধার করা হয়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তিন রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের ১৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠনগুলির তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে।

এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠী নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে সক্রিয় থাকলেও, মিয়ানমার সীমান্তে এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর সঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। ২০১৭ সালে গোষ্ঠীর প্রধান এসএস খাপলাংয়ের মৃত্যু পর, এই সংগঠনটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে অরুণাচল-মিয়ানমার সীমান্তসহ আসামে তাদের সক্রিয়তা আরও বাড়ছে।

এ ঘটনাটি আবারও ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের প্রতি সতর্কতা বাড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি

আপডেট সময় : ১০:৪০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দফায় দফায় গুলির লড়াইয়ে দুই নাগা বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা নাগা বিদ্রোহী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর সদস্য বলে দাবি করেছেন ভারতীয় সেনারা।

অরুণাচলের লংডিং জেলার দুর্গম এলাকায় সেনা ও আসাম রাইফেলসের যৌথ বাহিনী প্রথম হামলার মুখে পড়ে শুক্রবার। এরপর সেনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে দুই বিদ্রোহীর মৃত্যু ঘটে, এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭, এম-৪ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও একটি গ্রেনেড লঞ্চার উদ্ধার করা হয়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তিন রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের ১৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠনগুলির তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে।

এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠী নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে সক্রিয় থাকলেও, মিয়ানমার সীমান্তে এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর সঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। ২০১৭ সালে গোষ্ঠীর প্রধান এসএস খাপলাংয়ের মৃত্যু পর, এই সংগঠনটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে অরুণাচল-মিয়ানমার সীমান্তসহ আসামে তাদের সক্রিয়তা আরও বাড়ছে।

এ ঘটনাটি আবারও ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের প্রতি সতর্কতা বাড়িয়েছে।