সারাদেশে উন্মুক্ত বর্জ্যে ভোগান্তিতে মানুষ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

- আপডেট সময় : ১১:০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

মূল সড়কগুলো পরিষ্কার করা হলেও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বগুড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কোরবানির বর্জ্য। উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা বর্জ্যের দুর্গন্ধে নাজেহাল পথচারী ও স্থানীয়রা। এদিকে বগুড়ায় বৃষ্টিতে বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ায় তৈরি হয়েছে তীব্র দুর্গন্ধ।
চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকার সড়কগুলো থেকে কোরবানির বর্জ্য সরানো হলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত অলিগলিতে পড়ে ছিল বর্জ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পশুর উচ্ছিষ্টসহ ময়লা আবর্জনা থেক দুর্গন্ধ ছড়ায়। সড়ক থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বর্জ্য অপসারণের কাজ করলেও আতুরার ডিপো ও হামজারবাগ এলাকাসহ যেসব এলাকায় ডাস্টবিন ও নালা নর্দমা নেই সেখানে দীর্ঘক্ষণ ময়লা জমে থাকায় ছড়ায় দুর্গন্ধ।
এলাকাবাসী জানান, বর্জ্য ছড়িয়ে থাকায় তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন এগুলার জন্য ব্যবস্থা নিবে না। তীব্র দুর্গন্ধ রোদে আরও তাতিয়ে উঠছে।
বগুড়া পৌর এলাকার বেশিরভাগ সড়কে স্তূপ করে রাখা হয় কোরবানির বর্জ্য। সেই সঙ্গে শনিবার রাতের বৃষ্টিতে ময়লা ছড়িয়ে পড়ায় তৈরি হয় তীব্র দুর্গন্ধ। চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও আশপাশের লোকজন। ঈদের পরদিন সকাল থেকে ৭শ জন পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলছেন স্থানীয়রা।
তারা জানিয়েছেন, ময়লা আবর্জনার কারণে দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। হাঁটাচলা কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
এদিকে, ময়মনসিংহে ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কথা থাকলেও তা করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। মূল সড়ক থেকে অলিগলি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে নোংরা আবর্জনা। রাস্তার পাশে পড়া পচাগলা চামড়া। যাতে তৈরি হয় দুর্গন্ধ। পশুর হাটের আশপাশে পরিষ্কার না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, গন্ধে আশেপাশের মানুষের সমস্যা হচ্ছে। চামড়া নষ্ট হওয়ায় প্রচুর গন্ধ ছড়াচ্ছে। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। দেখা যায়, তারা ১ দিন বা ২ দিনেও তা পরিষ্কার করে না।
আজ (রোববার, ৮ জুন) সকালেও রাজশাহী নগরীর সিএন্ডবি মোড়, কোর্ট স্টেশন এলাকাসহ কয়েক জায়গায় কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেয়া যায়। তাতে ভোগান্তি বাড়ে ডাস্টবিন এলাকায় চলাচলকারী পথচারীদের।
যদিও বেলা ১২টার মধ্যে পরিষ্কার করতে সক্ষম হয় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এদিকে, খুলনা নগরীর অলিগলি থাকা বর্জ্য সরিয়ে প্রাথমিক ডাম্পিং পয়েন্টে রাখা হলেও ঈদের পরদিনও শহরের বাহিরের মূল ডাম্পিং পয়েন্টে সরানো শেষ হয়নি। অতিরিক্ত বর্জ্য সরাতে বেগ পেতে হয় পরিচ্ছন্ন কর্মীদের।
এদিকে, কিছুটা ভিন্ন চিত্র বরিশাল ও সিলেট নগরীতে। মূল সড়ক থেকে অলিগলি বেশিরভাগ বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হয়েছে সিটি করপোরেশন। পরে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় নগরীর সড়কগুলো।