ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতের মণিপুর ফের উত্তপ্ত, কারফিউ জারি-ইন্টারনেট বন্ধ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফের অশান্ত মণিপুর। সম্প্রতি রাজ্যটির মেইতেই সম্প্রদায়ের সংগঠন আরামবাই টেংগোলের পাঁচ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই গতকাল শনিবার রাতে ইম্ফলের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। এর জেরে পাঁচ দিনের জন্য পাঁচটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে মণিপুর সরকার। বিষ্ণুপুরের জারি করা হয়েছে কারফিউ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল, বিষ্ণুপুর ও কাকচিং জেলায় ইন্টারনেটে স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।

এর আগে শনিবার রাতে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ হয়। শহরের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক তাণ্ডব চলে। বিক্ষোভকারীরা টেংগোলের সদস্যদের মুক্তির দাবিতে কোয়াকিথেল ও উরিপোকের রাস্তার মাঝখানে টায়ার ও পুরানো আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এই আবহে সরকারের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, থৌবাল, কাকচিং ও বিষ্ণুপুর জেলায় বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, কিছু সমাজবিরোধী জনসাধারণের আবেগকে উসকে দেওয়ার জন্য ছবি, ঘৃণামূলক বক্তব্য ও ঘৃণামূলক ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে। এর জন্য ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হতে পারে, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই একতরফাভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারী কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে মণিপুরের জেলাগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসব এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

তবে কোন নেতাকে আটক করা হয়েছে বা তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পশ্চিম ইম্ফলের কোয়াকিথেল পুলিশ ফাঁড়িতে উন্মত্ত জনতা হামলা চালালে দুই সাংবাদিক ও এক সাধারণ নাগরিক আহত হন। রাজ্যসভার সাংসদ লেইশেম্বা সানাজাওবাকেও ঘটনাস্থলে দেখা যায়, তিনি পরিস্থিতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের মণিপুর ফের উত্তপ্ত, কারফিউ জারি-ইন্টারনেট বন্ধ

আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

ফের অশান্ত মণিপুর। সম্প্রতি রাজ্যটির মেইতেই সম্প্রদায়ের সংগঠন আরামবাই টেংগোলের পাঁচ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই গতকাল শনিবার রাতে ইম্ফলের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। এর জেরে পাঁচ দিনের জন্য পাঁচটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে মণিপুর সরকার। বিষ্ণুপুরের জারি করা হয়েছে কারফিউ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল, বিষ্ণুপুর ও কাকচিং জেলায় ইন্টারনেটে স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।

এর আগে শনিবার রাতে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ হয়। শহরের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক তাণ্ডব চলে। বিক্ষোভকারীরা টেংগোলের সদস্যদের মুক্তির দাবিতে কোয়াকিথেল ও উরিপোকের রাস্তার মাঝখানে টায়ার ও পুরানো আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এই আবহে সরকারের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, থৌবাল, কাকচিং ও বিষ্ণুপুর জেলায় বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, কিছু সমাজবিরোধী জনসাধারণের আবেগকে উসকে দেওয়ার জন্য ছবি, ঘৃণামূলক বক্তব্য ও ঘৃণামূলক ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে। এর জন্য ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হতে পারে, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই একতরফাভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আদেশ অমান্যকারী কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে মণিপুরের জেলাগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসব এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

তবে কোন নেতাকে আটক করা হয়েছে বা তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পশ্চিম ইম্ফলের কোয়াকিথেল পুলিশ ফাঁড়িতে উন্মত্ত জনতা হামলা চালালে দুই সাংবাদিক ও এক সাধারণ নাগরিক আহত হন। রাজ্যসভার সাংসদ লেইশেম্বা সানাজাওবাকেও ঘটনাস্থলে দেখা যায়, তিনি পরিস্থিতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।