ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

মঙ্গলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি চীনা বিজ্ঞানীদের

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মঙ্গলগ্রহে গবেষণা কেন্দ্র গড়তে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। আর সেই শক্তির জোগান মিলবে মঙ্গলের বাতাস থেকেই। গ্রহটির নিজস্ব বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সংরক্ষণের অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কারের দাবি করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মঙ্গলগ্রহে গবেষণা কেন্দ্র গড়তে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই শক্তির উৎসও এবার খুঁজে বের করার দাবি করেছেন চীনা গবেষকরা। তাদের দাবি, মঙ্গলের বাতাস দিয়েই বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

চীনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, মঙ্গলের বাতাসকে কাজে লাগিয়ে তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই বাতাসের ঘনত্ব বেশি এবং তাপ ধারণক্ষমতাও অনেক।

হিলিয়াম বা জেননের মতো মূল্যবান গ্যাস নয় বরং মঙ্গলেই থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করেই উৎপাদন ক্ষমতা ২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছে গবেষণা দল। এতে ব্যাটারির ওজন কমবে এবং গ্রহেই শক্তি জোগান নিশ্চিত হবে।

মঙ্গলের বাতাস তাপ থেকে বিদ্যুতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ভালো কার্যকরি। এর অণুর ওজন বেশি এবং নির্দিষ্ট তাপধারণ ক্ষমতাও উচ্চমানের। এর অর্থ এটি তাপ-থেকে-বিদ্যুৎ রূপান্তরে অত্যন্ত উপযোগী।

শুধু উৎপাদন নয়, গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন ‘মার্স ব্যাটারি’ নামের একটি ধারণা, যা মঙ্গলের বাতাসে থাকা উপাদান শোষণ করে তা থেকেই তৈরি করে বিদ্যুৎ।

লিথিয়াম-এয়ার বা লিথিয়াম-কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যাটারির মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে রোভার কিংবা হেলিকপ্টারও চালানো সম্ভব।

মঙ্গলগ্রহের দিন-রাত্রির বিশাল তাপমাত্রা পার্থক্যেও এই ব্যাটারি কাজ করতে সক্ষম বলে পরীক্ষায় দেখা গেছে। শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এটি নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা ভবিষ্যতের গবেষণা ঘাঁটি নির্মাণে বড় সহায়ক।

নিউজটি শেয়ার করুন

মঙ্গলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি চীনা বিজ্ঞানীদের

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

মঙ্গলগ্রহে গবেষণা কেন্দ্র গড়তে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। আর সেই শক্তির জোগান মিলবে মঙ্গলের বাতাস থেকেই। গ্রহটির নিজস্ব বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সংরক্ষণের অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কারের দাবি করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মঙ্গলগ্রহে গবেষণা কেন্দ্র গড়তে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই শক্তির উৎসও এবার খুঁজে বের করার দাবি করেছেন চীনা গবেষকরা। তাদের দাবি, মঙ্গলের বাতাস দিয়েই বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

চীনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, মঙ্গলের বাতাসকে কাজে লাগিয়ে তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই বাতাসের ঘনত্ব বেশি এবং তাপ ধারণক্ষমতাও অনেক।

হিলিয়াম বা জেননের মতো মূল্যবান গ্যাস নয় বরং মঙ্গলেই থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করেই উৎপাদন ক্ষমতা ২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছে গবেষণা দল। এতে ব্যাটারির ওজন কমবে এবং গ্রহেই শক্তি জোগান নিশ্চিত হবে।

মঙ্গলের বাতাস তাপ থেকে বিদ্যুতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে ভালো কার্যকরি। এর অণুর ওজন বেশি এবং নির্দিষ্ট তাপধারণ ক্ষমতাও উচ্চমানের। এর অর্থ এটি তাপ-থেকে-বিদ্যুৎ রূপান্তরে অত্যন্ত উপযোগী।

শুধু উৎপাদন নয়, গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন ‘মার্স ব্যাটারি’ নামের একটি ধারণা, যা মঙ্গলের বাতাসে থাকা উপাদান শোষণ করে তা থেকেই তৈরি করে বিদ্যুৎ।

লিথিয়াম-এয়ার বা লিথিয়াম-কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যাটারির মতো প্রযুক্তির মাধ্যমে রোভার কিংবা হেলিকপ্টারও চালানো সম্ভব।

মঙ্গলগ্রহের দিন-রাত্রির বিশাল তাপমাত্রা পার্থক্যেও এই ব্যাটারি কাজ করতে সক্ষম বলে পরীক্ষায় দেখা গেছে। শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসেও এটি নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা ভবিষ্যতের গবেষণা ঘাঁটি নির্মাণে বড় সহায়ক।