বেশ কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চিত্রনায়িকা তানিন সুবাহ (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নায়িকার পরিবার।

জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদীতে বাবার কবরের পাশে তানিন সুবাহকে দাফন করা হবে। তবে কবে ও কখন দাফন করা হবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।

এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নায়িকার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি তখনো জীবিত ছিলেন, তবে শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

জানা যায়, তানিনের স্বামী হাসপাতালে অবস্থান না করায় তখন তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়নি। আজ মঙ্গলবার তার স্বামীর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে (রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে) লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলে না ফেরার দেশে পারি জমান তানিন। তার মৃত্যুতে শোবিজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তানিনের শেষ সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন নাটক ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের অনেকেই।

এর আগে গত ২ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিন সুবহা। প্রথমে আফতাবনগরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফেরেন। তবে সন্ধ্যায় আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বনশ্রীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, সেখানেই ছিলেন লাইফ সাপোর্টে।

২০১২ সালের ১ জানুয়ারি তানিন সুবহা ক্লোজআপ ওয়ানের অডিশনের মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন। প্রথমে গানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও পরে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। তার প্রথম কাজ ছিল একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে, এরপর মোশাররফ করিমের বিপরীতে ‘যমজ’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। সিনেমায় তার অভিষেক হয় ‘অবাস্তব ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, যদিও এটি মুক্তি পায়নি। পরবর্তীতে ‘মাটির পরী’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় নিজের অবস্থান দৃঢ় করেন।

তানিন সুবহা তার ক্যারিয়ারে ‘ভালো থেকো’, ‘তুই আমার’, ‘দেমাগ’, ‘বেগমজান’, ‘বীর বাঙালি’ ও ‘রাজা রানির গল্প’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বর্তমানে তার মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বীর মাতা’, ‘দুই রাজকন্যা’ ও ‘প্রেমের বাঁধন’।