ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ‘দুর্নীতির’ তদন্ত চান রাশেদ খান

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের পাশাপাশি আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় রাশেদ খান বলেন, ‘একজন উপদেষ্টার এপিএস যখন দুর্নীতি করে, এমনি এমনি তো আর কারো এনআইডি লক হয় না। আপনার আমার তো হয়নি। তাহলে সেই এপিএস এর কেন হলো? আমার প্রশ্ন হলো এপিএস এত দুর্নীতি করল, আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তিনি জানতেন না? আমি সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাই, এপিএস মোয়াজ্জেমকে নিয়ে যেভাবে তদন্ত হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুধুমাত্র তিনি নন প্রত্যেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত হতে হবে। যদি কোনো উপদেষ্টা দুর্নীতি না করে থাকেন তাহলে আমরা তাকে স্যালুট জানাই। কিন্তু যেহেতু অভিযোগ আসছে, দু-একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মানে অন্যদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের সমস্যা থাকতে পারে, অভিযোগ থাকতে পারে। সুতরাং সরকারকে বলব, আপানারা বলেছিলেন প্রতি মাসে আপনারা উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দেবেন, এপিএসদের সম্পদের হিসাব দেবেন। আপনারা নাকি মন্ত্রণালয়ে বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের প্রতিমাসে হিসাব দাখিল করতে হবে। এটি বলার পরে কোনো মন্ত্রণালয়ে সম্পদের হিসাব দিয়েছে?’

রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে, আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি কি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? গ্রহণযোগ্য হবে না। যে কারণে আমরা সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা রেখেছে, যেসকল স্টেক হোল্ডার রয়েছে, তাদের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কিন্তু সরকার সেই স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দল, অন্যান্য যারা নেতৃত্বদানকারী ছিল তাদের কারো সাথে আলোচনা করছে না। তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আমাকে হাসিনার যে এক তরফা চিন্তা, সেটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের কাছে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবে প্রত্যাশা করতে পারি না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ‘দুর্নীতির’ তদন্ত চান রাশেদ খান

আপডেট সময় : ০৩:২৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের পাশাপাশি আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় রাশেদ খান বলেন, ‘একজন উপদেষ্টার এপিএস যখন দুর্নীতি করে, এমনি এমনি তো আর কারো এনআইডি লক হয় না। আপনার আমার তো হয়নি। তাহলে সেই এপিএস এর কেন হলো? আমার প্রশ্ন হলো এপিএস এত দুর্নীতি করল, আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তিনি জানতেন না? আমি সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাই, এপিএস মোয়াজ্জেমকে নিয়ে যেভাবে তদন্ত হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুধুমাত্র তিনি নন প্রত্যেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তদন্ত হতে হবে। যদি কোনো উপদেষ্টা দুর্নীতি না করে থাকেন তাহলে আমরা তাকে স্যালুট জানাই। কিন্তু যেহেতু অভিযোগ আসছে, দু-একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মানে অন্যদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের সমস্যা থাকতে পারে, অভিযোগ থাকতে পারে। সুতরাং সরকারকে বলব, আপানারা বলেছিলেন প্রতি মাসে আপনারা উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দেবেন, এপিএসদের সম্পদের হিসাব দেবেন। আপনারা নাকি মন্ত্রণালয়ে বলেছিলেন, কর্মকর্তাদের প্রতিমাসে হিসাব দাখিল করতে হবে। এটি বলার পরে কোনো মন্ত্রণালয়ে সম্পদের হিসাব দিয়েছে?’

রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে, আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি কি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? গ্রহণযোগ্য হবে না। যে কারণে আমরা সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা রেখেছে, যেসকল স্টেক হোল্ডার রয়েছে, তাদের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। কিন্তু সরকার সেই স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দল, অন্যান্য যারা নেতৃত্বদানকারী ছিল তাদের কারো সাথে আলোচনা করছে না। তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আমাকে হাসিনার যে এক তরফা চিন্তা, সেটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের কাছে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবে প্রত্যাশা করতে পারি না।’