ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

চাঁদের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি রুথবা ইয়াসমিন!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন এক নারী। তাও সরাসরি চাঁদের পথে, নারী ক্রু নিয়ে। তিনি ঢাকার রুথবা ইয়াসমিন। বয়সে তরুণ, স্বপ্নে বিশাল। মহাকাশ অভিযানে তার এই যাত্রা শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বাংলাদেশের পতাকা চাঁদের মাটিতে পৌঁছে দেয়ারও প্রথম পদক্ষেপ।

২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা Space Nation ঘোষণা দেয় তাদের Moon Pioneer মিশনের। এই অভিযানে অংশ নেয়া সবাই নারী। তাদের সঙ্গে কেবল একজন পুরুষ। সে দলেই জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের রুথবা ইয়াসমিন।

স্পেস নেশনের মিশন ঘোষণার দুই দিন আগে ১৪ এপ্রিল, ব্লু অরিজিনের সব নারী ক্রু নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমান পপ তারকা কেটি পেরি। খুব কাছাকাছি সময়ে নারী নিয়ন্ত্রিত একাধিক মহাকাশ মিশন বার্তা দিচ্ছে, নারীরা এখন শুধু মহাকাশে প্রবেশ করছে না, বরং সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে।

রুথবার মহাকাশ যাত্রার স্বপ্ন বুনন শুরু হয় শৈশবে। ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৪ সালে Mount Holyoke College থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে ডিগ্রি নেন গণিতে। তবে কোভিড মহামারি তার মহাকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ২০২১ সালেই দেশে ফিরে আসেন রুথবা। তবে থেমে না থেকে রুথবা চালিয়ে যান গবেষণা। United International University থেকে ডেটা সায়েন্সে মাস্টার্স করেন।

২০২৪ সালে রুথবা ফের পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। University of South Alabama থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং–এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। আর এখানেই হাতছানি দেয় তার স্বপ্ন পূরণের ঝলক। বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে মহাকাশ প্রশিক্ষণের সুযোগ পান রুথবা।

তার গবেষণা থিসিসের বিষয় ছিল স্পেস ওয়েদার বা মহাকাশের আবহাওয়া। বিশেষ করে জিওম্যাগনেটিক ঝড় যা পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারকে প্রভাবিত করে। এই থিসিসই হয়ে ওঠে তার মহাকাশ অভিযাত্রার টার্নিং পয়েন্ট। রুথবা বলেন, ‘আমার ভিতরে এক গভীর আকাঙ্ক্ষা ছিল আমার ফিজিক্স ডিগ্রিকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর। সেখান থেকেই শুরু হয় মহাকাশে পা রাখার স্বপ্ন।’

Space Nation-এর Moon Pioneer প্রশিক্ষণে রূথবা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে অংশ নেন। প্রথম রাউন্ডে তিনি ছিলেন Moon Base EVA Specialist। যিনি মক স্পেসস্যুট পরে চাঁদের পৃষ্ঠে অভিযানে অংশ নেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে Mission Control Engineer হিসেবে, Moon Base দলের প্রত্যেক সদস্যকে দূর থেকে নির্দেশনা দিয়ে সফলভাবে নিরাপদে ফেরত আনা ছিল রুথবার কাজ।

দুটি পর্বেই দারুণ নৈপুণ্য ও দক্ষতা দেখিয়ে সফল হন রুথবা। তার মহাকাশ অনুপ্রেরণা, NASA অ্যাস্ট্রোনট সুনিতা উইলিয়ামস। স্পেসওয়াকে রেকর্ডধারী সুনিতা দীর্ঘতম সময় মহাকাশে কাটানো একমাত্র নারী। রুথবা বলেন, ‘মাহাকাশ অভিযানে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। মহাকাশ শিল্পে মাত্র ২০ শতাংশ নারী, আর অ্যাস্ট্রোনট মাত্র ১১ শতাংশ। এটা বদলাতে হবে।’

মহাকাশ ছোয়ার স্বপ্ন দেখা হাজারও বাঙালি তরুণের পথপ্রদর্শক হতে পারেন রুথবা। তিনি বলেন, ‘যারা মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে ভালো ভিত্তি তৈরি করুক। তবে কেবল শিক্ষাগত ডিগ্রিই যথেষ্ট নয়। দরকার কৌতূহল, সাহস, সমস্যা সমাধানে দক্ষতা এবং নিজের স্বকীয়তা। মহাকাশ এখন শুধুই পশ্চিমাদের মাঠ নয় বরং বাংলাদেশ থেকেও সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

চাঁদের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি রুথবা ইয়াসমিন!

আপডেট সময় : ০১:০০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন এক নারী। তাও সরাসরি চাঁদের পথে, নারী ক্রু নিয়ে। তিনি ঢাকার রুথবা ইয়াসমিন। বয়সে তরুণ, স্বপ্নে বিশাল। মহাকাশ অভিযানে তার এই যাত্রা শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বাংলাদেশের পতাকা চাঁদের মাটিতে পৌঁছে দেয়ারও প্রথম পদক্ষেপ।

২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা Space Nation ঘোষণা দেয় তাদের Moon Pioneer মিশনের। এই অভিযানে অংশ নেয়া সবাই নারী। তাদের সঙ্গে কেবল একজন পুরুষ। সে দলেই জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের রুথবা ইয়াসমিন।

স্পেস নেশনের মিশন ঘোষণার দুই দিন আগে ১৪ এপ্রিল, ব্লু অরিজিনের সব নারী ক্রু নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমান পপ তারকা কেটি পেরি। খুব কাছাকাছি সময়ে নারী নিয়ন্ত্রিত একাধিক মহাকাশ মিশন বার্তা দিচ্ছে, নারীরা এখন শুধু মহাকাশে প্রবেশ করছে না, বরং সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে।

রুথবার মহাকাশ যাত্রার স্বপ্ন বুনন শুরু হয় শৈশবে। ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৪ সালে Mount Holyoke College থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে ডিগ্রি নেন গণিতে। তবে কোভিড মহামারি তার মহাকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ২০২১ সালেই দেশে ফিরে আসেন রুথবা। তবে থেমে না থেকে রুথবা চালিয়ে যান গবেষণা। United International University থেকে ডেটা সায়েন্সে মাস্টার্স করেন।

২০২৪ সালে রুথবা ফের পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। University of South Alabama থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং–এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। আর এখানেই হাতছানি দেয় তার স্বপ্ন পূরণের ঝলক। বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে মহাকাশ প্রশিক্ষণের সুযোগ পান রুথবা।

তার গবেষণা থিসিসের বিষয় ছিল স্পেস ওয়েদার বা মহাকাশের আবহাওয়া। বিশেষ করে জিওম্যাগনেটিক ঝড় যা পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারকে প্রভাবিত করে। এই থিসিসই হয়ে ওঠে তার মহাকাশ অভিযাত্রার টার্নিং পয়েন্ট। রুথবা বলেন, ‘আমার ভিতরে এক গভীর আকাঙ্ক্ষা ছিল আমার ফিজিক্স ডিগ্রিকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর। সেখান থেকেই শুরু হয় মহাকাশে পা রাখার স্বপ্ন।’

Space Nation-এর Moon Pioneer প্রশিক্ষণে রূথবা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বে অংশ নেন। প্রথম রাউন্ডে তিনি ছিলেন Moon Base EVA Specialist। যিনি মক স্পেসস্যুট পরে চাঁদের পৃষ্ঠে অভিযানে অংশ নেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে Mission Control Engineer হিসেবে, Moon Base দলের প্রত্যেক সদস্যকে দূর থেকে নির্দেশনা দিয়ে সফলভাবে নিরাপদে ফেরত আনা ছিল রুথবার কাজ।

দুটি পর্বেই দারুণ নৈপুণ্য ও দক্ষতা দেখিয়ে সফল হন রুথবা। তার মহাকাশ অনুপ্রেরণা, NASA অ্যাস্ট্রোনট সুনিতা উইলিয়ামস। স্পেসওয়াকে রেকর্ডধারী সুনিতা দীর্ঘতম সময় মহাকাশে কাটানো একমাত্র নারী। রুথবা বলেন, ‘মাহাকাশ অভিযানে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। মহাকাশ শিল্পে মাত্র ২০ শতাংশ নারী, আর অ্যাস্ট্রোনট মাত্র ১১ শতাংশ। এটা বদলাতে হবে।’

মহাকাশ ছোয়ার স্বপ্ন দেখা হাজারও বাঙালি তরুণের পথপ্রদর্শক হতে পারেন রুথবা। তিনি বলেন, ‘যারা মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে ভালো ভিত্তি তৈরি করুক। তবে কেবল শিক্ষাগত ডিগ্রিই যথেষ্ট নয়। দরকার কৌতূহল, সাহস, সমস্যা সমাধানে দক্ষতা এবং নিজের স্বকীয়তা। মহাকাশ এখন শুধুই পশ্চিমাদের মাঠ নয় বরং বাংলাদেশ থেকেও সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।’