সিলেট সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ৭০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সীমান্ত পুশইনের ঘটনায় টহলরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা সবাইকে আটক করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোররাতে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর আওতাধীন জৈন্তাপুরের শ্রীপুর, মিনাটিলা, কোম্পানিগঞ্জের কালাইরাগ ও ছাতকের নোয়াকোট বিওপির সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

৪৮ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ১টা ২০ মিনিট থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে ভারতীয় ২ এবং ৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সিলেটের নোয়াকোট, কালাইরাগ, শ্রীপুর এবং মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে একযোগে এসব পুশইনের চেষ্টা চালায়। তবে সতর্ক অবস্থানে থাকা বিজিবির টহল দল তাদের সবাইকে নিরাপদে আটক করে।

আটককৃতদের মধ্যে সিলেট জেলার সীমান্ত এলাকা মোট ৫৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে কালাইরাগ বিওপি কর্তৃক ২টি পরিবারে মোট ১৩ জন আটক হন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪জন মহিলা ৩জন ও শিশু ৬ জন। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।

এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর বিওপি কর্তৃক ২টি পরিবারের মোট ১৭ জনকে আটক করে বিজিবি। তারমধ্যে পুরুষ ৪জন, মহিলা ৪জন ও শিশু ৯জন রয়েছে । এর মধ্যে ৭ জন কুড়িগ্রাম ও ১০ জন লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়।

জৈন্তাপুরের অপর সীমান্তবর্তী মিনাটিলা বিওপিতে ৪টি পরিবারের মোট ২৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ ৯জন, মহিলা ৭জন ও শিশু ৭জন রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।

এদিকে সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপিতে ৪টি পরিবারের মোট ১৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তার মধ্যে পুরুষ ৫জন, মহিলা ৪জন, ও শিশু ৮জন রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়।

বিজিবি সূত্রে আরো জানানো হয়, আটককৃত ৭০ জনের মধ্যে মোট পুরুষ ২২ জন, মহিলা ১৮ জন ও শিশু ৩০ জন। তাদের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার ৪৩ জন ও লালমনিরহাট ২৭ জন রয়েছেন।

এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আটককৃতরা অতীতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল।গতরাতে বিএসএফ তাদের রাতের আঁধারে পুশইন করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।বর্তমানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।