ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

উড়োজাহাজটি কেন বিধ্বস্ত হলো, যা ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১-এর ইঞ্জিন টেক অফের সময় যথেষ্ট গতি পায়নি বলে মনে করছেন উড়োজাহাজ চলাচল বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উড়োজাহাজটি ভারত থেকে লন্ডনের পথে ছিল। মাত্র ৬৭২ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন । এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, এদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান ছিলেন।

বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিটে ওড়ার পর দ্রুত নিচে নামতে শুরু করে এবং পরে বিস্ফোরিত হয়।

ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই মডেলের বিমানটি যাত্রার পরই ইঞ্জিনে যথেষ্ট গতি পায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইলটরা উড়োজাহাজটিকে ওপরে তোলার চেষ্টা করছিলেন, যার জন্য তারা হেলমেট (ইয়ক) টানছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে ল্যান্ডিং গিয়ারও নিচে ছিল।

টেকঅফের পর একটি মে-ডে সংকেত পাঠানো হয়, যা নির্দেশ করে বিমান সংকটে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেহেতু উড়োজাহাজটি কম উড়ছিল তাই পাইলটরা সেটিকে ওপরে তুলতে চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু প্লেনটি ধীরে ধীরে নিচে নামছিল।

বিমানটি সর্বোচ্চ ১৭৪ নট গতি পেয়েছিল, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম; যা ইঙ্গিত দেয় ইঞ্জিন যথেষ্ট গতি দিতে পারেনি।

সাবেক সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন সুরভ ভাটনগর বলেন, ‘টেকঅফ ছিল নিখুঁত, কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ার তুলবার আগে বিমান নামতে শুরু করে, যা ইঞ্জিনের গতি হারানো হারানো ছাড়া সম্ভব নয়। তদন্তের পরে সঠিক কারণ জানা যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে বলেছেন, ‘আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। এটি ভাষাতীত এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি এবং উদ্ধারকাজে নিয়োজিত মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

উড়োজাহাজটি কেন বিধ্বস্ত হলো, যা ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা

আপডেট সময় : ১০:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১-এর ইঞ্জিন টেক অফের সময় যথেষ্ট গতি পায়নি বলে মনে করছেন উড়োজাহাজ চলাচল বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উড়োজাহাজটি ভারত থেকে লন্ডনের পথে ছিল। মাত্র ৬৭২ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরই এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন । এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, এদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান ছিলেন।

বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিটে ওড়ার পর দ্রুত নিচে নামতে শুরু করে এবং পরে বিস্ফোরিত হয়।

ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই মডেলের বিমানটি যাত্রার পরই ইঞ্জিনে যথেষ্ট গতি পায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইলটরা উড়োজাহাজটিকে ওপরে তোলার চেষ্টা করছিলেন, যার জন্য তারা হেলমেট (ইয়ক) টানছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে ল্যান্ডিং গিয়ারও নিচে ছিল।

টেকঅফের পর একটি মে-ডে সংকেত পাঠানো হয়, যা নির্দেশ করে বিমান সংকটে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেহেতু উড়োজাহাজটি কম উড়ছিল তাই পাইলটরা সেটিকে ওপরে তুলতে চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু প্লেনটি ধীরে ধীরে নিচে নামছিল।

বিমানটি সর্বোচ্চ ১৭৪ নট গতি পেয়েছিল, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম; যা ইঙ্গিত দেয় ইঞ্জিন যথেষ্ট গতি দিতে পারেনি।

সাবেক সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন সুরভ ভাটনগর বলেন, ‘টেকঅফ ছিল নিখুঁত, কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ার তুলবার আগে বিমান নামতে শুরু করে, যা ইঞ্জিনের গতি হারানো হারানো ছাড়া সম্ভব নয়। তদন্তের পরে সঠিক কারণ জানা যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে বলেছেন, ‘আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। এটি ভাষাতীত এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি এবং উদ্ধারকাজে নিয়োজিত মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’