ইসরাইলি হামলায় ইরানে ৭০ জন নিহত

- আপডেট সময় : ০৯:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

ইরানে ভোররাতে ইসরাইলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ হামলায় ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানী রয়েছেন। ফার্স নিউজ এজেন্সি বলছে, ‘আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান অনুসারে ইসরাইলি হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
আজ (শুক্রবার, ১৩ জুন) ভোররাতে ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। তেহরানের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আয়োজিত একটি বৈঠকের একদিন আগেই এ হামলার ঘটনা ঘটল। অর্থাৎ, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ভেস্তে দিতেই এই হামলা। এদিন ইরানের একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরাইল। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে রাজধানী তেহরানসহ দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলের ইস্পাহান প্রদেশের নাতানজ শহরে যেখানে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে সেখানে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ২০০টির বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে ৩৩০টিরও বেশি মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইরান। তাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নাম ফেরেয়দুন আব্বাসি, যিনি ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এইওআই-এর সাবেক প্রধান ছিলেন।
এ ছাড়া, নিহত হয়েছেন মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি। তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তেহরানের ইসলামিক আজাদ ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই তালিকায় আরো আছেন আব্দোলহামিদ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জোলফাঘারি ও আমিরহোসেইন ফেকহি। এদের প্রত্যেকেই তেহরানের শহীদ বেহেশতি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন। ষষ্ঠ জনের পুরো নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। শুধু তার পদবী ‘মোতাল্লেবিজাদেহ’ উল্লেখ করা হয়েছে।
পরমাণু বিজ্ঞানীরা ছাড়াও নিহতের তালিকায় রয়েছেন ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি ও খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার ঘোলামালি রশীদ।
এদিকে, হামলার জবাবে ইরানও ১০০টিরও বেশি ড্রোন ইসরায়েলের ওপর নিক্ষেপ করেছে। ইরানের ছোড়া সব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে, দাবি ইসরায়েলের।
দেশটির হোম ফ্রন্ট কমান্ড, যারা এর আগে আশ্রয়কেন্দ্র সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছিলো, তারা জনগণকে জানিয়েছে যে এখন আর কারোর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে অবস্থান করার প্রয়োজন নেই। তবে একইসঙ্গে সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকার কথাও বলা হয়েছে।