ইরানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পরমাণু চুক্তিতে না এলে ইরানের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানকে বারবার চুক্তির সুযোগ দিয়েছি। এবার সময় ফুরিয়ে আসছে। এখন যদি তারা সমঝোতায় না আসে, তাহলে তাদের জন্য সামনে শুধু ধ্বংস অপেক্ষা করছে।’
এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল ইরানের তেহরান ও নাতাঞ্জ শহরে একাধিক বিমান হামলা চালায়। হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ছিল সতর্ক। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তারা আগাম অবগত ছিল, তবে সরাসরি কোনো অংশ নেয়নি। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানায়, নাতাঞ্জ স্থাপনায় রেডিয়েশনের মাত্রা বাড়েনি এবং ইস্পাহানে কোনো ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক প্রযুক্তি তৈরি করে, যার অনেকটাই রয়েছে ইসরায়েলের হাতে—আর তারা জানে কীভাবে তা ব্যবহার করতে হয়। পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক, চুক্তির পথ এখনো খোলা আছে। ইরান যদি বাঁচতে চায়, তাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে, সব শেষ হয়ে যাবে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দাবি করেছে, এই হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালাম নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলও জানিয়েছে, তাদের অভিযানে আইআরজিসি-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই মারা গেছেন।
গত ৩১ মে ইরানকে পরমাণু চুক্তির লিখিত প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান দাবি, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। যে দাবি শুরু থেকেই নাকচ করে আসছে তেহরান। পরে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখান করে পাল্টা প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানায় ইরান। দেশটির অবস্থান নিয়ে পরে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। গত সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (ইরান) এমন জিনিস চাইছে যা আপনি করতে পারেন না। তারা ইউরেনিয়া সমৃদ্ধকরণ চায়। আমরা এটা করতে দিতে পারি না।’