ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাজারে ক্রেতা কম, সবজি-মাছে স্বস্তি নেই

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখনো ফাঁকা ঢাকা। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে। বাজারে ক্রেতা সংখ্যা তুলনামূলক কম। পাশাপাশি দুই এক রকমের সবজি ছাড়া সবগুলোর দামই স্বাভাবিক রয়েছে। আজকের বাজারে বেশিরভাগ সবজির দামই প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে রয়েছে।

ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে মাংসের বেচাকেনা অনেকটাই থমকে গেছে। বাজারে গরু-খাসির মাংস পাওয়া গেলেও ক্রেতার দেখা নেই। ঈদের আগের তুলনায় অধিকাংশ মুরগী ও মাছের দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, মেরাদিয়া হাট, গোড়ান, মিরপুর, গুলশান, বাড্ডা, বনশ্রী, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঈদের আগে টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন খুচরা বাজারে তা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে ঈদের আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ থেকে ১০০ টাকায়, কাঁকরোল ৬০ টাকা থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় ও শসা ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতিপিস ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে সব সবজির দামই বাড়েনি। ঈদের আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কচুর লতি এখন ৮০ টাকায় নেমে এসেছে। চিচিঙ্গাও ৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে, যা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৬০ টাকা কেজি দরে এবং কাঁচা কলা প্রতি হালি ৫০ টাকায়, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হায়দার হোসেন। তিনি বলেন, বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কমই আছে, তবে বাজারে ক্রেতা কম সে কারণে বিক্রেতারা সব ধরনের সবজি আনেনি। আর বাজারেও ক্রেতাদের উপস্থিতি বলতে গেলে খুবই কম। মূলত ঈদ শেষে এখনো সিংহভাগ মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। সে কারণেই বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুব কম।

রামপুরা বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, ক্রেতা কম, সবজির সরবরাহ কম থাকলেও বাজারে সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে। অন্যান্য সময়ের মতোই এখনো সবজির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে ক্রেতা কম, সবজি বিক্রেতাদের সংখ্যাও কম এখন। ধারণা করা যায় আগামী রোববার থেকে বাজারে তাদের সমাগম ঘটবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ-পরবর্তী বাজারে মাংসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকায় মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে ফিরেছে স্বাভাবিক গতি। সাশ্রয়ী মূল্য, স্বস্তি এবং চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকায় এই তিনটি পণ্যই হয়ে উঠেছে শহরের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ভরসার জায়গা। বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য থাকলে আগামী কয়েকদিনে মূল্য আরও স্থিতিশীল হবে বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা।

ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকা হয়েছে।

রাবেয়া খাতুন পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা। তিনি বলেন, ঈদের পর পরিবারে আর কেউই মাংস খেতে চাচ্ছে না। গরু-খাসির মাংসে যেন অনেকটা বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। তাই সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। মুরগির দামটা আমার কাছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশী মনে হয়েছে।

ডিমের দামেও ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতিপিস ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিম কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, সকাল-বিকেল মিলিয়ে পরিবারে প্রতিদিন ডিম লাগে। আগে ডজনপ্রতি ১০ টাকাও বেশি দিতাম। এখন ১২০ টাকায় পেয়ে কিছুটা ভালো লাগছে। সব জিনিসের দাম যখন বাড়ছে, তখন অন্তত ডিমে স্বস্তি পাচ্ছি।

ডিম বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ঈদের পর ডিমের চাহিদা বেড়েছে। সবাই এখন ঘরে ফিরেছে, অফিস-স্কুলও খুলছে, তাই আবার প্রতিদিনকার খাবারে ডিমের ব্যবহার বাড়ছে। দাম একটু কমেছে সরবরাহ ভালো থাকায়।

ঈদের আগের তুলনায় অধিকাংশ মাছের দামই বেড়েছে। পাঙাশ মাছ ঈদের আগে যেখানে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা বেড়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়ার দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩৫-২৫০ টাকা হয়েছে। রুই মাছ ৩০০-৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা মাছের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি। কই মাছের দাম ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০-২৬০ টাকা হয়েছে। যদিও এখানে সামান্য হেরফের দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেছেছে ট্যাংরা মাছের দাম, যা এখন ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারে মাছ কিনতে আসা আকবর হোসেন নামক এক ক্রেতা বলেন, ঈদের পর মন চাচ্ছে হালকা কিছু খেতে। মাংস খেতে খেতে হাঁপিয়ে গেছি। এখন বাজারে এসে রুই মাছ কিনেছি ৩৫০ টাকা কেজিতে, যা সাধারণত ৩০০ টাকায় কেনা হতো।

মাছ বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, ঈদের আগে মাছ একদম চলেনি। এখন আবার চাহিদা বেড়েছে। দামও কিছুটা বেড়েছে, সরবরাহ ভালো। তবে দেশি শিং-কৈ এখনও খুব দামি, কারণ এগুলো খুঁজে পাওয়া কঠিন।

অন্যদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে।

মগবাজারের মাংস বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, সকাল থেকে মাংস ঝুলিয়ে রেখেছি, বিক্রি খুব একটা নেই। সাধারণত ঈদের পর এই সময়টাতে বিক্রি কমই থাকে। ঈদের পর মানুষ মাছ-মুরগিতেই চলে গেছে। যেকারণে কেউ কেউ দাম জিজ্ঞেস করে, শুনে চলে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজারে ক্রেতা কম, সবজি-মাছে স্বস্তি নেই

আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

এখনো ফাঁকা ঢাকা। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে। বাজারে ক্রেতা সংখ্যা তুলনামূলক কম। পাশাপাশি দুই এক রকমের সবজি ছাড়া সবগুলোর দামই স্বাভাবিক রয়েছে। আজকের বাজারে বেশিরভাগ সবজির দামই প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে রয়েছে।

ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে মাংসের বেচাকেনা অনেকটাই থমকে গেছে। বাজারে গরু-খাসির মাংস পাওয়া গেলেও ক্রেতার দেখা নেই। ঈদের আগের তুলনায় অধিকাংশ মুরগী ও মাছের দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, মেরাদিয়া হাট, গোড়ান, মিরপুর, গুলশান, বাড্ডা, বনশ্রী, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঈদের আগে টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন খুচরা বাজারে তা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে ঈদের আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ থেকে ১০০ টাকায়, কাঁকরোল ৬০ টাকা থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় ও শসা ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতিপিস ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে সব সবজির দামই বাড়েনি। ঈদের আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কচুর লতি এখন ৮০ টাকায় নেমে এসেছে। চিচিঙ্গাও ৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে, যা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৬০ টাকা কেজি দরে এবং কাঁচা কলা প্রতি হালি ৫০ টাকায়, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হায়দার হোসেন। তিনি বলেন, বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কমই আছে, তবে বাজারে ক্রেতা কম সে কারণে বিক্রেতারা সব ধরনের সবজি আনেনি। আর বাজারেও ক্রেতাদের উপস্থিতি বলতে গেলে খুবই কম। মূলত ঈদ শেষে এখনো সিংহভাগ মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। সে কারণেই বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুব কম।

রামপুরা বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, ক্রেতা কম, সবজির সরবরাহ কম থাকলেও বাজারে সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে। অন্যান্য সময়ের মতোই এখনো সবজির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে ক্রেতা কম, সবজি বিক্রেতাদের সংখ্যাও কম এখন। ধারণা করা যায় আগামী রোববার থেকে বাজারে তাদের সমাগম ঘটবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ-পরবর্তী বাজারে মাংসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকায় মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে ফিরেছে স্বাভাবিক গতি। সাশ্রয়ী মূল্য, স্বস্তি এবং চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকায় এই তিনটি পণ্যই হয়ে উঠেছে শহরের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ভরসার জায়গা। বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য থাকলে আগামী কয়েকদিনে মূল্য আরও স্থিতিশীল হবে বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা।

ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকা হয়েছে।

রাবেয়া খাতুন পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা। তিনি বলেন, ঈদের পর পরিবারে আর কেউই মাংস খেতে চাচ্ছে না। গরু-খাসির মাংসে যেন অনেকটা বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। তাই সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। মুরগির দামটা আমার কাছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশী মনে হয়েছে।

ডিমের দামেও ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতিপিস ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিম কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, সকাল-বিকেল মিলিয়ে পরিবারে প্রতিদিন ডিম লাগে। আগে ডজনপ্রতি ১০ টাকাও বেশি দিতাম। এখন ১২০ টাকায় পেয়ে কিছুটা ভালো লাগছে। সব জিনিসের দাম যখন বাড়ছে, তখন অন্তত ডিমে স্বস্তি পাচ্ছি।

ডিম বিক্রেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ঈদের পর ডিমের চাহিদা বেড়েছে। সবাই এখন ঘরে ফিরেছে, অফিস-স্কুলও খুলছে, তাই আবার প্রতিদিনকার খাবারে ডিমের ব্যবহার বাড়ছে। দাম একটু কমেছে সরবরাহ ভালো থাকায়।

ঈদের আগের তুলনায় অধিকাংশ মাছের দামই বেড়েছে। পাঙাশ মাছ ঈদের আগে যেখানে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা বেড়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়ার দাম ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩৫-২৫০ টাকা হয়েছে। রুই মাছ ৩০০-৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা মাছের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি। কই মাছের দাম ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০-২৬০ টাকা হয়েছে। যদিও এখানে সামান্য হেরফের দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেছেছে ট্যাংরা মাছের দাম, যা এখন ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারে মাছ কিনতে আসা আকবর হোসেন নামক এক ক্রেতা বলেন, ঈদের পর মন চাচ্ছে হালকা কিছু খেতে। মাংস খেতে খেতে হাঁপিয়ে গেছি। এখন বাজারে এসে রুই মাছ কিনেছি ৩৫০ টাকা কেজিতে, যা সাধারণত ৩০০ টাকায় কেনা হতো।

মাছ বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, ঈদের আগে মাছ একদম চলেনি। এখন আবার চাহিদা বেড়েছে। দামও কিছুটা বেড়েছে, সরবরাহ ভালো। তবে দেশি শিং-কৈ এখনও খুব দামি, কারণ এগুলো খুঁজে পাওয়া কঠিন।

অন্যদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে।

মগবাজারের মাংস বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, সকাল থেকে মাংস ঝুলিয়ে রেখেছি, বিক্রি খুব একটা নেই। সাধারণত ঈদের পর এই সময়টাতে বিক্রি কমই থাকে। ঈদের পর মানুষ মাছ-মুরগিতেই চলে গেছে। যেকারণে কেউ কেউ দাম জিজ্ঞেস করে, শুনে চলে যায়।