বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলছে পালাবদলের হাওয়া। এই ধারাবাহিকতায় তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের নতুন যুগে পা রেখেছে টাইগাররা। টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্ত, টি-টোয়েন্টিতে লিটনের পর এবার ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক তত্ত্বে কতটুকু সফল হতে পারে বাংলাদেশ?

এক একটা আইসিসি ইভেন্ট শেষ হয় সাথে লেখা থাকে হতাশার গল্প। প্রত্যেক টুর্নামেন্টের আগে আশার বানী শোনান অধিনায়করা। তবে ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খায় বাংলাদেশের ক্রিকেট।

বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রথম বহরের ক্রিকেটাররা। এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক থাকছেন মেহেদী মিরাজ। তার ব্যাটে-বলে ধারাবাহিকতা, নেতৃত্বগুণ ও দলকে উজ্জীবিত করার ক্ষমতা বিবেচনায় তাকে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল তিন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়কের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। অন্যদিকে টেস্টে নেতৃত্বে থাকা শান্ত কিছুদিন আগে টি–টোয়েন্টির দায়িত্ব ছাড়ার পর এবার ছাড়লেন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব।

আগামী এক বছর মিরাজের অধিনায়কত্বে সাত সিরিজে মোট ২১টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া ২০২৭ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।

২০১৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কত্ব পান মিরাজ। তার নেতৃত্বেই ২০১৪ ও ২০১৬ যুব বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে মিরাজের অধিনায়কত্বে তৃতীয় হয় স্বাগতিকরা। তখন পর্যন্ত সেটিই ছিল বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।

৫ বছর আগে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মমিনুল হক। সে সময় তিন ফরম্যাটে ৩ অধিনায়ক পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে তামিম ও টি-টোয়েন্টিতে রিয়াদকে পেয়েছিলো বাংলাদেশ। তিন অধিনায়কের অধীনে বিচ্ছিন্ন কিছু সাফল্য পেলেও আইসিসি ইভেন্ট গুলোতে বরাবরই ব্যর্থ টিম বাংলাদেশ।

মিরাজের জন্য এটি বড় এক দায়িত্ব, তবে একেবারে নতুনও নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মিরাজের অধিনায়কত্বে মাঠে নামবে টাইগাররা। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২, ৫ ও ৮ জুলাই।

তিন সংস্করণ, তিন অধিনায়ক—বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন নতুন কৌশলের পথে। তরুণদের ওপর ভরসা রেখে ভবিষ্যতের জন্য গড়া হচ্ছে নতুন রূপরেখা। তবে মিরাজের হাত ধরে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ ফিরে পাক নিজেদের সাফল্য-ধারা এমন প্রত্যাশায় ভক্তরা।