জামালপুর শহরে ব্রহ্মপুত্র শাখা নদের ওপর নেই কোনো সেতু। ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন শত শত মানুষ। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। এ অবস্থায় স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
জামালপুর পৌরসভার ব্রহ্মপুত্র শাখা নদের তীরবর্তী নাওভাঙ্গা চর। যেখানে ৫ শতাধিক পরিবারের বাস। তবে গ্রামে নেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর কিংবা হাসপাতাল। তাই যেকোনো প্রয়োজনে প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো পার হয়েই ওপারের পাথালিয়া গ্রামে যেতে হয় বাসিন্দাদের। ভোগান্তি লাঘবে শিগগিরই নদের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, নদ পারাপারে কোনো সেতু না থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের। কারণ ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে পাথালিয়া গ্রামে রয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। আর এটি কেন্দ্র করেই আশেপাশে গড়ে উঠেছে ওষুধের দোকান। তাই ওষুধ কিনতে কিংবা চিকিৎসা সেবা নিতে সাঁকো পার হয়ে যেতে হয় তাদের। এতে অনেক সময় ঘটে দুর্ঘটনা।
রোগীর স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘সাঁকো পার হয়ে আমাদের ওষুধপত্র আনতে হয়। এতে আমাদের বয়স্ক মানুষদের অনেক অসুবিধা হয়। ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসায় অসুবিধা হয়। সাঁকোর থেকে একটা ব্রিজ হলে বেশি ভালো হতো। সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকসময় আমরা হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই।’
স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে সেতু নির্মাণ হলে হাসপাতালের রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। একইসঙ্গে স্থানীয়দের আর্থ-সামাজিক সুবিধাও বাড়বে।
তারা জানান, এই এলাকার মানুষজনের সকল ধরনের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি। এই ব্রিজ স্থাপন করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সেবা নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হোক।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণে এলজিইডির কাছে অনুরোধ পত্র পাঠানো হয়েছে। আর প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত সেতু নির্মাণের আশ্বাস এলজিইডি কর্মকর্তাদের।
জামালপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন এই সাঁকোর উপর দিয়ে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ চলাচল করে। পৌরসভার পক্ষে এত টাকা দিয়ে ওই সাঁকো মেরামত করে দেয়া সম্ভব না। তাই আমরা এলজিইডিকে অনুরোধ করবো সাঁকোটি মেরামত করে দেয়ার জন্য।’
এলজিইডি জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ বলেন, ‘সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে প্রকল্প গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে। এবং বরাদ্দ পেলে দ্রুতই কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। সেক্ষেত্রে জনগণের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।’