ইসরাইল ও ইরানের ‘ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের বিষয়ে এরদোগানের হুঁশিয়ারি

- আপডেট সময় : ০১:৩২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান শনিবার ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ‘ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন, যা শরণার্থী সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এরদোগান তার ইরানি সমকক্ষ মাসুদ পেজেশকিয়ানকে বলেছেন যে ইস্রায়েল “পুরো অঞ্চলকে আগুনের মধ্যে টেনে নিতে” চায়।
ইসরায়েল ও ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মারাত্মক ব্যারেজ বাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশকে প্রভাবিত করতে পারে এমন একটি তীব্র যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলার সময় তিনি এই কথোপকথন করলেন।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে এরদোগান বলেন, ‘আমাদের অঞ্চল আরেকটি সংকট সহ্য করতে পারে না এবং একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ এই অঞ্চলের সব দেশে অনিয়মিত অভিবাসনের ঢেউ তৈরি করতে পারে।
তুরস্ক ইতিমধ্যে লাখ লাখ সিরীয়কে আশ্রয় দিয়েছে, যারা তাদের গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছিল, পাশাপাশি ইরানিরা তাদের দেশের কর্তৃত্ববাদী শাসকদের কাছ থেকে দূরে জীবন খুঁজছে। এই স্রোত তুরস্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
ইসরাইলকে ‘এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য প্রধান হুমকি’ উল্লেখ করে এরদোগান সৌদি যুবরাজকে বলেছেন, ইসরাইলকে থামানো দরকার।
তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টি কেবল আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে।
এরদোগানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব ও গণহত্যার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ বন্ধ করে রেখেছে, ইসরাইল আইন ও আগ্রাসন লঙ্ঘনের এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এরদোগান জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গেও কথা বলেছেন।
পরে শনিবার তার কার্যালয় জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে অব্যাহত আলোচনাকে সমর্থন করতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এক্স (সাবেক টুইটার) টুইটারে লিখেছেন যে তিনি এরদোগানের সাথেও কথা বলেছেন এবং দু’জনেই একমত হয়েছেন যে “ইরানের বিরুদ্ধে ইস্রায়েলের বিনা উস্কানিতে আগ্রাসন” “আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি”।
ইসরাইল শুক্রবার ইরানের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।
এর জবাবে ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে তিনজন নিহত ও ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়।