ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

এমন হামলা জীবনেও দেখিনি: ইসরায়েলি বাসিন্দা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরের একটি আবাসিক এলাকা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বিস্ফোরণে একাধিক ভবন ধসে পড়ে, এতে শিশুসহ ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চারজন।

স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে চালানো এ হামলায় শহরের একটি আবাসিক ব্লক মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনো বহু লোক আটকা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন– এক ৮ বছর বয়সী কন্যাশিশু, এক ১০ বছর বয়সী পুত্রশিশু, ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ।

ইসরায়েলি উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রিবাত ভাকনিন জানিয়েছেন, হামলার সময় তার বাবা আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি এবং এখন তিনি নিখোঁজ। রিবাত বলেন, আমার ভাই বাবাকে নিতে ঘরে ঢুকেছিল। ঠিক তখনই বিস্ফোরণ হয়। ভাইটি ছিটকে পড়ে, কিন্তু বাবাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

একজন নারী বাসিন্দা গিমেল জানান, তিনি তার পোষা কুকুর ‘জয়া’কে খুঁজে পাচ্ছেন না। হামলার সময় তিনি একা ছিলেন এবং সাইরেন শুনে আতঙ্কে বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ শুনি। মনে হয়েছিল সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বাইরে এসে জানতে পারি, চারজন নারী মারা গেছেন। এরপরই সিলিং ভেঙে মাথার ওপর পড়ে যায়। মনে হচ্ছিল, আমি বেঁচে থাকবো না।

৭০ বছর বয়সী বারুচ বলেন, আমি জীবনে এমন কিছু দেখিনি। ছয় দিনের যুদ্ধে গোলান হাইটসে ছিলাম। তখনও যুদ্ধ দেখেছি, বিমান দেখেছি। কিন্তু আজকের দিনের হামলা এবং ধ্বংস আমি কোনোদিন কল্পনাও করিনি। আমি বোমার ক্ষমতায় আতঙ্কিত।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষের জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সূত্র– টাইমস অব ইসরায়েল, সিএনএন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এমন হামলা জীবনেও দেখিনি: ইসরায়েলি বাসিন্দা

আপডেট সময় : ০৭:২৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরের একটি আবাসিক এলাকা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বিস্ফোরণে একাধিক ভবন ধসে পড়ে, এতে শিশুসহ ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চারজন।

স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে চালানো এ হামলায় শহরের একটি আবাসিক ব্লক মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনো বহু লোক আটকা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন– এক ৮ বছর বয়সী কন্যাশিশু, এক ১০ বছর বয়সী পুত্রশিশু, ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ।

ইসরায়েলি উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রিবাত ভাকনিন জানিয়েছেন, হামলার সময় তার বাবা আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি এবং এখন তিনি নিখোঁজ। রিবাত বলেন, আমার ভাই বাবাকে নিতে ঘরে ঢুকেছিল। ঠিক তখনই বিস্ফোরণ হয়। ভাইটি ছিটকে পড়ে, কিন্তু বাবাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

একজন নারী বাসিন্দা গিমেল জানান, তিনি তার পোষা কুকুর ‘জয়া’কে খুঁজে পাচ্ছেন না। হামলার সময় তিনি একা ছিলেন এবং সাইরেন শুনে আতঙ্কে বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ শুনি। মনে হয়েছিল সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বাইরে এসে জানতে পারি, চারজন নারী মারা গেছেন। এরপরই সিলিং ভেঙে মাথার ওপর পড়ে যায়। মনে হচ্ছিল, আমি বেঁচে থাকবো না।

৭০ বছর বয়সী বারুচ বলেন, আমি জীবনে এমন কিছু দেখিনি। ছয় দিনের যুদ্ধে গোলান হাইটসে ছিলাম। তখনও যুদ্ধ দেখেছি, বিমান দেখেছি। কিন্তু আজকের দিনের হামলা এবং ধ্বংস আমি কোনোদিন কল্পনাও করিনি। আমি বোমার ক্ষমতায় আতঙ্কিত।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষের জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সূত্র– টাইমস অব ইসরায়েল, সিএনএন।