দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

- আপডেট সময় : ০৫:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। ১১ দিন পর আজ (রোববার, ১৫ জুন) সকাল থেকে পুনরায় নগর ভবনে তার সমর্থকরা জড়ো হতে থাকলে সেখানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বেলা ১১টায় এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে ইশরাক হোসেনের সেখানে উপস্থিত হন। কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন ইশরাক হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব শপথ পড়ানো। স্থানীয় সরকার তার কাজের জন্য ভবিষ্যৎতে নিজেরাই আইনি জটিলতায় পড়বে। স্থানীয় সরকার আইন লঙ্ঘন করেছেন। প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যাচ্ছে।’
ইশরাক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল বুঝানো হয়েছে। শপথ পড়ানো হলে পূর্বের সরকারের অবৈধ নির্বাচন প্রমাণিত হবে। বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায়। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তি আমরা চাই না। তবে এই গণআন্দোলন চলমান থাকবে। এটা জনগণের দাবি। এমনি এমনি আন্দোলন থেমে যাবে না। কোনোভাবে আন্দোলন থামানোর সুযোগ নেই। বিরতিহীনভাবে আজ থেকে আন্দোলন চলবে।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘সরকারের প্রতি আহ্বান দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করার। নাহলে এ অচলাবস্থা কাটবে না। প্রধান ফটকের তালা খোলা হবে না। তবে জনগণের কাজ চলমান থাকবে।’ এসময় প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলেও জানান ইশরাক।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র ও শপথ পড়ানোর দাবিতে ঈদের আগে ২২ দিন আন্দোলন করেছিলেন ইশরাক সমর্থকরা। ঈদে জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ৩ জুন ওই আন্দোলনে কিছুটা শিথিল এবং বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত ১৪ মে থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মচারী, ইশরাকের সমর্থকসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ঈদের আগে টানা তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে নগর ভবনের সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে গত ৩ জুন নগর ভবনে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঈদের সময়ের মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আন্দোলনে সাময়িক বিরতি ঘোষণা করেন ইশরাক হোসেন।
এদিকে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে করপোরেশনের কর্মকর্তারা শুরু থেকেই অনুপস্থিত রয়েছেন। ফটকগুলো তালাবদ্ধ থাকায় কর্মকর্তারা অফিসে আসছেন না। দাপ্তরিক কাজ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।