শিগগিরই পিচ কিউরেটর নিয়োগের আশ্বাস বাফুফের

- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

তাবিথ আউয়ালের নতুন কমিটির বয়স আট মাস হয়ে গেলেও এখনও হয়নি গ্রাউন্ডস কমিটি। যে কারণে জাতীয় স্টেডিয়ামসহ ঢাকার বাইরের মাঠগুলোর সঠিক পরিচর্যা হচ্ছে না। এতে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন সাবেক কর্মকর্তারা। শিগগিরই গ্রাউন্ডস কমিটি গঠন করাসহ মাঠের যত্নে পিচ কিউরেটর নিয়োগ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাফুফের সহ-সভাপতি।
ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রায় চার বছরের বেশি সময় পর খেলা ফিরেছে দেশের ঐতিহাসিক জাতীয় স্টেডিয়ামে। এরপর বহুল কাঙ্ক্ষিত সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন হামজা চৌধুরী-শমিত সোমরা।
আন্তর্জাতিক মানের এই ভেন্যু রক্ষণাবেক্ষণে খেলা শেষে এনএসসির মাঠ কর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে নেই বাফুফের কোনো গ্রাউন্ডস কমিটি, যে কারণে শুধু জাতীয় স্টেডিয়ামের এই মাঠ নয় ঢাকার বাইরের মাঠে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে পড়েছে চ্যালেঞ্জিং।
দেশের ফুটবলের প্রধান জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করেন মোহাম্মদ চান মিয়া। জানালেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তাড়াহুড়ো করে মাঠ প্রস্তুতে ১২ ধরনের ঘাস লাগানো হয়েছে। যেটি একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুর জন্য বেশ ক্ষতিকর।
বাফুফের আগের গ্রাউন্ডস কমিটির নির্দেশনায় কাজ করা এই মাঠকর্মীর দাবি, ১০৫ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৬৮ মিটার প্রস্থের এই মাঠের সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণে প্রয়োজন অন্তত ৬ থেকে ৭ জন। তবে লোক সংকট আর মাঠ পরিচর্যায় সঠিক নির্দেশনার অভাবে হচ্ছে না পরিচর্যার কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটির বয়স ৮ মাসে পা রাখলেও মাঠ তত্ত্বাবধানে বাফুফের নেই কোনো গ্রাউন্ডস কমিটি। ফলে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে জাতীয় স্টেডিয়ামের পিচ।
বাফুফে গ্রাউন্ডস কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, ‘যখন খেলার বিরতি হয়, তখন আমরা এক ধরনের দস্তা দিয়ে মাঠের যেখানে যেখানে গর্ত হত সেখানে সেখানে সমান করে দিতাম। যেটা আমার এবার চোখে পড়েনি।’
তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই গ্রাউন্ডস কমিটিসহ বাকি থাকা অন্যান্য কমিটিও গঠন করার আশ্বাস মিলেছে বাফুফে কর্তার কথায়।
ফাহাদ করিম বলেন, ‘বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল কিন্তু সব দিক দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তো এই কাজ করার ক্ষেত্রে ওনারো কিছু স্ট্র্যাটেজি আছে। কমিটিরও কিছু স্ট্র্যাটেজি আছে। আমার মনে হয় এখনো দু-তিনটা কমিটি বাকি আছে। সেগুলো খুব দ্রুতই হয়ে যাবে।’
কেবল জাতীয় স্টেডিয়াম নয়, অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদেশি পিচ কিউরেটর নিয়োগের পরিকল্পনাও করছে বাফুফে।
ফাহাদ করিম আরো বলেন, ‘একটু সময় পাবো, অক্টোবর এবং নভেম্বর। আমরা একটা কিউরেটরকে নিয়োগ করতে চাই। কিউরেটরের পরামর্শে আমরা ঘাস সেট করবো এবং মাঠ সাজাবো। ভারতের একটি টপ ক্লাবের কিউরেটরের সাথে কথা বলেছিলাম, থাইল্যান্ডের একজন কিউরেটরের সাথে কথা বলার কথা ছিল। পরে কথা হয়েছে কি না জানি না, তবে অবশ্যই আমাদের একটি আন্তর্জাতিক মানের কিউরেটর থাকবে।’
বাফুফের সেই আশার বাণী মাঠ পরিচর্যায় কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।