ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

আগামী একমাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন করা হবে: আইন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে গুমের তদন্ত, বিচার। আগামী একমাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, গুমবিষয়ক আইনটি আগামী এক মাসের মধ্যে হবে আশা করি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে গুমের তদন্ত, বিচার। গুমবিষয়ক আইনের অধীনে একটি শক্তিশালী গুমবিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে। জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। তারা বিগত সরকারের আমলে বারবার দেশে গুমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের ব্যাপারে তথ্য জানার জন্য আসতে চেয়েছিল। প্রথম আসতে চেয়েছিল ১২ বছর আগে। এরপর অনেকবার অনুরোধ করেছে। যেহেতু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গুমের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে বলে বিশ্বাস তাই তারা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের আসতে দেয়নি, চিঠির উত্তরও দেয়নি।

তিনি বলেন, তারা আমাদের কিছু কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে। গুম বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির সদস্য রাষ্ট্র হয়েছে বাংলাদেশ। এটার প্রশংসা করেছে প্রতিনিধি দল। গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশন গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে। গুম বিষয়ক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। গুম বিষয়ক কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। আইনের ব্যাপারে ভুক্তভোগী এবং গুম বিষয়ক কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেছেন। মিসিং পার্সন সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলেছেন। এগুলো করা হবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, গুমের শিকার যাদের এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের জন্য ‘কমিশন অন সার্চ’ করার বলেছেন। বিবেচনা করার কথা জানিয়েছি। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে কার্যক্রমের প্রশংসা করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা দেবেন। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে লজিস্টিক ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবেন। কোনো আর্থিক সহায়তা দরকার হবে না। ‘মিসিং পার্সন সার্টিফিকেট’ এর কথা বিবেচনা করছে সরকার। যেন গুমের শিকার পরিবার উত্তরাধিকার, ব্যাংক একাউন্টের মতো বিষয়গুলোতে প্রতিকার পেতে পারে। আশা করি আগামী একমাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন এবং সিআরপিসির সংশোধন আইন হয়ে যাবে।

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অবকাশ আছে। সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইন করেনি। এ বিষয়ে যে কমিটি হয়েছে সেটি যতো দ্রুত সম্ভব উপদেষ্টা পরিষদে রিপোর্ট দেবে। সে পর্যন্ত কর্মচারীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান। সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আগামী একমাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন করা হবে: আইন উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে গুমের তদন্ত, বিচার। আগামী একমাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, গুমবিষয়ক আইনটি আগামী এক মাসের মধ্যে হবে আশা করি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে গুমের তদন্ত, বিচার। গুমবিষয়ক আইনের অধীনে একটি শক্তিশালী গুমবিষয়ক কমিশন গঠন করা হবে। জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। তারা বিগত সরকারের আমলে বারবার দেশে গুমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের ব্যাপারে তথ্য জানার জন্য আসতে চেয়েছিল। প্রথম আসতে চেয়েছিল ১২ বছর আগে। এরপর অনেকবার অনুরোধ করেছে। যেহেতু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গুমের ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে বলে বিশ্বাস তাই তারা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের আসতে দেয়নি, চিঠির উত্তরও দেয়নি।

তিনি বলেন, তারা আমাদের কিছু কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে। গুম বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির সদস্য রাষ্ট্র হয়েছে বাংলাদেশ। এটার প্রশংসা করেছে প্রতিনিধি দল। গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশন গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে। গুম বিষয়ক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। গুম বিষয়ক কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। আইনের ব্যাপারে ভুক্তভোগী এবং গুম বিষয়ক কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেছেন। মিসিং পার্সন সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলেছেন। এগুলো করা হবে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, গুমের শিকার যাদের এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের জন্য ‘কমিশন অন সার্চ’ করার বলেছেন। বিবেচনা করার কথা জানিয়েছি। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে কার্যক্রমের প্রশংসা করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা দেবেন। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে লজিস্টিক ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবেন। কোনো আর্থিক সহায়তা দরকার হবে না। ‘মিসিং পার্সন সার্টিফিকেট’ এর কথা বিবেচনা করছে সরকার। যেন গুমের শিকার পরিবার উত্তরাধিকার, ব্যাংক একাউন্টের মতো বিষয়গুলোতে প্রতিকার পেতে পারে। আশা করি আগামী একমাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন এবং সিআরপিসির সংশোধন আইন হয়ে যাবে।

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অবকাশ আছে। সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইন করেনি। এ বিষয়ে যে কমিটি হয়েছে সেটি যতো দ্রুত সম্ভব উপদেষ্টা পরিষদে রিপোর্ট দেবে। সে পর্যন্ত কর্মচারীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান। সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান।