অপসারণ নয় বরং এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাকি ম্যাচেও তাকে সুযোগ দেয়ার পক্ষে। এই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর থেকেই জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অপসারণের দাবি উঠেছে চারদিকে। দলের দায়িত্ব নেবার পর ৩৮ ম্যাচে ১৯ ম্যাচ হারা কোচের পারফরম্যান্সে খুশি বাফুফে নির্বাহী সদস্য মঞ্জুরুল আলমসহ ফেডারেশন কর্তারা।

মাত্র দু-দিন আগেই ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য শাখাওয়াত হোসেন শাহীন ফুটবল ফেডারেশনের প্রেস মিটে ভরা মজলিসে জানিয়েছিলেন জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে অপসারণের দাবি।

যদিও সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তার সহকর্মী মঞ্জুরুল করিম। কৌশলী উত্তরে প্রশ্নগুলো যেন ডি বক্স থেকেই ক্লিয়ার করার চেষ্টা। তবে ধরা পড়ে স্পষ্ট মতপার্থক্য।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য মঞ্জুরুল করিম বলেন, ‘কোচের ব্যাপার তার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। যদি কোচ পরিবর্তন বা নতুন কোচ আনা হবে সেটা সিদ্ধান্ত নিবে ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যানের সভাপতি। তিনি সেটা বোর্ডে সেটা আলাপ করবেন। সভাপতি সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছেন। সেটা তার ব্যাপার। আমাদের মিটিংয়ে তেমন কিছু আলোচনা হয়নি। তাই আমরা এখানে বিব্রত হওয়ার কিছু দেখি না।’

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উঠেছে কোচ হটাও রব। এমনকি সাবেক ফুটবলাররাও যোগ দিয়েছেন সেই দলে। উঠবেই বা না কেন, ৩৮ ম্যাচে ১৯ হার, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের হেড কোচের দায়িত্ব হারানোয় হারের সংখ্যাই যেন যথেষ্ট ছিল স্প্যানিয়ার্ডের জন্য।

এরপরেও স্রোতের বিপরীতেই ক্যাবরেরার পক্ষে ঢাল হয়ে দাড়ালেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য মঞ্জুরুল করিম।

সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ ফুটবল দলের পরবর্তী ম্যাচ আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বাফুফে। এর আগে যেন ফুটবল পাড়ায় আরো নাটকীয়তা বাকি।