ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রযোজককে অপহরণ করে মোটা টাকা আদায় করেছেন পূজা?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফের খবরের শিরোনামে ওপার বাংলার অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি। এবারে সঙ্গে জড়াল তাঁর স্বামী কুণাল বর্মার নামও। পূজা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন নামী প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে-এর স্ত্রী মালবিকা। সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে বিস্ফোরক সব অভিযোগ এনেছেন।

বন্ধুত্বের মুখোশের আড়ালে অপহরণ, হুমকি ও ভয় দেখিয়ে টাকা তোলা? অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি ও স্বামী কুণাল বর্মার বিরুদ্ধে উঠেছে এই বিস্ফোরক অভিযোগ। ফেসবুক পোস্টে মালবিকা লিখেছেন – “একটি পরিবারের জীবনে এরকম দুঃস্বপ্ন যেন আর কোনও দিন না নামে—এই আশায়, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে শেয়ার করছি এই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ।”

“৩১শে মে, ২০২৫—বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত নাম, ৬০টিরও বেশি ছবির প্রযোজক শ্যাম সুন্দর দে-কে জঘন্যভাবে অপহরণ, অবরুদ্ধ ও আর্থিকভাবে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। যাঁরা এই অপরাধের পিছনে রয়েছেন, তাঁরা আর কেউ নন—অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি (অর্থাৎ পূজা বোস), তাঁর স্বামী কুণাল বর্মা এবং তাঁদের প্রভাবশালী বন্ধু পীযূষ কোঠারি।”

“ব্যবসায়িক সফরে গিয়ে গোয়ায় ঘটে এই নারকীয় কাণ্ড। ভাড়া গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা পূজা ও তার সহযোগীরা শ্যামের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং বলা হয়—যদি ৬৪ লক্ষ টাকা না দেন, তাহলে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে।”

কীভাবে আদায় করা হল টাকা?
সেকথাও লিখেছেন মালবিকা – “শ্যামকে জোর করে তাঁর ফোন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করানো হয়। চরম ভয় ও মানসিক চাপে পড়ে তিনি ₹২৩ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করেন—এর মধ্যে পূজার সহকারী মুনমুনের কাছে কলকাতায় নগদ পরিশোধ, এবং পূজা ও কুণালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে RTGS ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। সব প্রমাণ এবং রশিদ সংরক্ষিত আছে।”

শ্যামসুন্দরের স্ত্রী-র লেখা অনুযায়ী, অপহরণকারীদের কৌশল: শ্যামের ফোন বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে জোর করে ভিডিও রেকর্ড করানো হয়।

সই করানো হয় একাধিক মিথ্যা কাগজে, যাতে দেখানো যায় তিনি “স্বেচ্ছায়” গোয়ায় রয়েছেন।

তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে শ্যামকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেল করার পরিকল্পনাও করা হয়।

তৎপর গোয়া পুলিশের (SP North Goa-এর নেতৃত্বে) সময়মতো হস্তক্ষেপে শ্যামকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পূজা, কুনাল ও পীযূষ কোঠারির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায়: ১২৬(২), ১৩৭(২), ১৪০(২), ৩০৮(২), ১১৫(২), ৩৫১(৩), ৬১(২), ৩(৫)।

নিজের পোস্টের সঙ্গে যা যা ছবি জুড়ে দিয়েছেন মালবিকা, তা হল – এফআইআর-এর কপি, গোয়া পুলিশে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রের স্বীকৃতি, উদ্ধারের অনুরোধ ও কৃতজ্ঞতা-বার্তা ইমেল, হুমকির অডিও/হোয়াটসঅ্যাপ প্রমাণ এবং RTGS ট্রান্সফার ও নগদ টাকার রশিদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রযোজককে অপহরণ করে মোটা টাকা আদায় করেছেন পূজা?

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ফের খবরের শিরোনামে ওপার বাংলার অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি। এবারে সঙ্গে জড়াল তাঁর স্বামী কুণাল বর্মার নামও। পূজা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন নামী প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে-এর স্ত্রী মালবিকা। সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে বিস্ফোরক সব অভিযোগ এনেছেন।

বন্ধুত্বের মুখোশের আড়ালে অপহরণ, হুমকি ও ভয় দেখিয়ে টাকা তোলা? অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি ও স্বামী কুণাল বর্মার বিরুদ্ধে উঠেছে এই বিস্ফোরক অভিযোগ। ফেসবুক পোস্টে মালবিকা লিখেছেন – “একটি পরিবারের জীবনে এরকম দুঃস্বপ্ন যেন আর কোনও দিন না নামে—এই আশায়, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে শেয়ার করছি এই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ।”

“৩১শে মে, ২০২৫—বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত নাম, ৬০টিরও বেশি ছবির প্রযোজক শ্যাম সুন্দর দে-কে জঘন্যভাবে অপহরণ, অবরুদ্ধ ও আর্থিকভাবে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। যাঁরা এই অপরাধের পিছনে রয়েছেন, তাঁরা আর কেউ নন—অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি (অর্থাৎ পূজা বোস), তাঁর স্বামী কুণাল বর্মা এবং তাঁদের প্রভাবশালী বন্ধু পীযূষ কোঠারি।”

“ব্যবসায়িক সফরে গিয়ে গোয়ায় ঘটে এই নারকীয় কাণ্ড। ভাড়া গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা পূজা ও তার সহযোগীরা শ্যামের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং বলা হয়—যদি ৬৪ লক্ষ টাকা না দেন, তাহলে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে।”

কীভাবে আদায় করা হল টাকা?
সেকথাও লিখেছেন মালবিকা – “শ্যামকে জোর করে তাঁর ফোন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করানো হয়। চরম ভয় ও মানসিক চাপে পড়ে তিনি ₹২৩ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করেন—এর মধ্যে পূজার সহকারী মুনমুনের কাছে কলকাতায় নগদ পরিশোধ, এবং পূজা ও কুণালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে RTGS ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। সব প্রমাণ এবং রশিদ সংরক্ষিত আছে।”

শ্যামসুন্দরের স্ত্রী-র লেখা অনুযায়ী, অপহরণকারীদের কৌশল: শ্যামের ফোন বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে জোর করে ভিডিও রেকর্ড করানো হয়।

সই করানো হয় একাধিক মিথ্যা কাগজে, যাতে দেখানো যায় তিনি “স্বেচ্ছায়” গোয়ায় রয়েছেন।

তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে শ্যামকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেল করার পরিকল্পনাও করা হয়।

তৎপর গোয়া পুলিশের (SP North Goa-এর নেতৃত্বে) সময়মতো হস্তক্ষেপে শ্যামকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পূজা, কুনাল ও পীযূষ কোঠারির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায়: ১২৬(২), ১৩৭(২), ১৪০(২), ৩০৮(২), ১১৫(২), ৩৫১(৩), ৬১(২), ৩(৫)।

নিজের পোস্টের সঙ্গে যা যা ছবি জুড়ে দিয়েছেন মালবিকা, তা হল – এফআইআর-এর কপি, গোয়া পুলিশে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রের স্বীকৃতি, উদ্ধারের অনুরোধ ও কৃতজ্ঞতা-বার্তা ইমেল, হুমকির অডিও/হোয়াটসঅ্যাপ প্রমাণ এবং RTGS ট্রান্সফার ও নগদ টাকার রশিদ।